সেবা সেন্টার সঙ্কুচিত করার ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে এবার রাজধানীর গুলশান-২ এ উদ্বোধন করা হলো ‘গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’ । মঙ্গলবার (২৩ মে) এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারটি উদ্বোধন করেন বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসএস) ডিভিশনের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, সিনিয়র পরিচালক হোসেন সাদাত, হেড অব মার্কেটিং ফারহা নাজ জামানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উদ্বোধনের পর নতুন এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারকে ঘিরে গ্রামীণফোনের হেড অব মার্কেটিং ফারহা নাজ জামানের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্যানেল আলোচনায় ‘ফিউচার অব টেলকো রিটেইল’ -এ প্রতিপাদ্যে নিজেদের মত ব্যক্ত করেন শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, অপো’র ইমার্জিং চ্যানেল ডিপার্টমেন্টের হেড অব সেলস হালিম প্যান, সেলএক্সট্রা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিব আরাফাত এবং গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশের এই যাত্রায় মোবাইল যোগাযোগ সেবার ভবিষ্যৎ, প্রযুক্তিগত রূপান্তরের সাথে মানিয়ে নেয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের পরিবর্তিত ডিজিটাল চাহিদা পূরণের ওপর নির্ভর করে। আমার বিশ্বাস এ ধরনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার সে প্রয়োজন পূরণে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে, যেখানে গ্রাহকরা সহজেই সকল প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন। আমি গ্রামীণফোনকে কৃতজ্ঞতা জানাই গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য। এই নতুন সংযোজনের পাশাপাশি উদ্ভাবনীয় ও প্রযুক্তির সম্ভাবনা উন্মোচনে সচেষ্ট ভূমিকা রাখার জন্য গ্রামীণফোনের প্রচেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাই।”
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “নতুন গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার উন্মোচন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ফিউচার ফিট রিটেইল শপ তৈরির ক্ষেত্রে এটা প্রথম পদক্ষেপ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে এটা এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। আমাদের গ্রাহকদের পরিবর্তিত ডিজিটাল চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তাদের ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবাদানে গ্রামীণফোনের দৃঢ় অঙ্গীকারের অনন্য উদাহরণ নতুন এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। উদ্ভাবন, স্বাচ্ছন্দ্য ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমাদের লক্ষ্য গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করে তাদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধিতে, ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে, তরুণদের দক্ষতার উন্নয়নে এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে আমরা ইকোসিস্টেম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত নতুন গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে রয়েছে কুইক সার্ভিস পোডিয়াম, এক্সক্লুসিভ কনসালটেটিভ সেলস ও সার্ভিস এরিয়া। এছাড়াও, গ্রামীণফোনের প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য এখানে রয়েছে লাউঞ্জ। গ্রামীণফোনের এ লাউঞ্জে মূল্যবান গ্রাহক, যারা গ্রামীণফোনের সঙ্গে অনেকদিন আছেন, তারা পাবেন বিশেষায়িত সেবা। এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে আরও রয়েছে ডিভাইস ও এনগেজমেন্ট জোন, যে জোনে গ্রাহকরা ফিউচার-ফিট প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে তাদের ডিজিটাল লাইফস্টাইল সমৃদ্ধ করতে পারবেন। পাশাপাশি, এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে থাকবে অ্যাপল, স্যামসাং, শাওমি, অপো, ভিভো, রিয়েলমি, ফাসট্র্যাক ও অ্যামাজফিট সহ স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিস্তৃত পরিসরের অনুমোদিত পণ্য। সরকারি ছুটির দিন ব্যাতীত সপ্তাহে প্রতিদিন এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের সফট লঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী এক মাসে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অপেক্ষার সময় গড়ে ৮.৩৩ মিনিট থেকে কমে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৪.০৫ মিনিটে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় নতুন গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার গ্রাহক সেবা অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।