পথশিশু। তারা দুঃস্থ ও দরিদ্র। শিশু পার্ক কিংবা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর তো তাদের জন্য তাদের জন্য নয়। তারা এসব আট্টালিকা দেখবে বাইরে থেকে। এমন চিত্র পাল্টে দিয়ে মঙ্গলবার পথ শিশুসহ দরিদ্র ও দুঃস্থ শিশুদের জন্য বিনামূল্যে জাদুঘর পরিদর্শন ও বিজ্ঞান প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয় বেশ জমকালো ভাবেই।
এই আয়োজনে অংশ নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বদেশ মৃত্তিকা বিদ্যালয়, জামেয়া হোসাইনীয়া মাদ্রাসা, আলমনগর মাদ্রাসা ও প্রভাত আনন্দসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬শতাধিক শিক্ষার্থী উৎসব মুখর পরিবেশে প্রায় ৪ ঘন্টা কাটিয়েছে জাদুঘরে।
বিভিন্ন প্রদর্শনীবস্তু পরিদর্শন করে আনন্দের পাশাপাশি অর্জন করেছে জ্ঞান। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয় এবং আধুনিক প্রযুক্তির নব উদ্ভাবন সম্পর্কে। এসব শিশুরা অর্থনৈতিক কারণে বিজ্ঞান জাদুঘরে আসতে পারে না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতার বিষয় বিবেচনা করে হাতে কলমে জ্ঞানার্জনের অপরিহার্যতার বিষয়টি উপলব্ধি করে বিজ্ঞান জাদুঘর এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীরা জাদুঘরে এসে আনন্দে উদ্বেলিত হয়। বিজ্ঞান জাদুঘরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব শিশু-কিশো্রদের সাথে একাত্ম হয়ে দায়িত্ব পালন করে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ সমাজের বিশেষ কোনো শ্রেণির নাগরিকদের জন্য নয়, ধনী দরিদ্র সর্বস্তরের নাগরিকদের জাদুঘরে আসার এবং জ্ঞাণতৃষ্ণা মিটানোর অধিকার রয়েছে। সংবিধানে বর্ণিত সমতা নীতির ভিত্তিতে বিজ্ঞান জাদুঘর অনগ্রসর মানুষের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এতে পথশিশু এবং দুঃস্থ ও দরিদ্র শিশুদের জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। সমাজের এ দরিদ্র শ্রেণি থেকেই জন্ম নিতে পারে নিউটন, আইনস্টাইন বা স্টিফেন হকিন্সের মত বিজ্ঞানীরা। কার মাঝে কি প্রতিভা সুপ্ত আছে, তা’ কেউ জানে না। এসব মেধার বিকাশ ঘটানোই আমাদের কর্তব্য।”