ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২২-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যাধুনিক পাওয়ার গ্রিড, গ্রিন ইকোনমি, দক্ষতা উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং নগর উন্নয়নে কাজ করছে।
দেশের জন্য নতুন ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব প্রদানে সুযোগ অন্বেষণের লক্ষ্যে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও হিউম্যানওয়ারকে একসাথে কাজে লাগানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
তার মতে, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও হিউম্যানওয়ার এই তিনটির একসাথে মিললেই বিজয়ী হওয়া সম্ভব। এর মধ্যে হিউম্যানওয়ার তথা মানুষকেই আসল ভূমিকা পালন করতে হবে অন্যথায় সব প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও তার যথাপোযুক্ত ব্যবহার সম্ভব হবে না। আর একজন সত্যিকারের মানুষ তৈরির জন্য তাদেরকে কেবল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুললেই হবে না তাদেরকে মানবিক মানুষ হিসেবেও তৈরি করতে হবে। অবশ্য বাঙালির হৃদয় আছে বলেই সে অনেক কিছু করতে পারে। বাঙালি পারে না এমন কিছু নেই। মানবিক ও সত্যিকার মানুষ গড়তে পারলেই হিউম্যান ডেভিডেন্ড জয় করা যাবে। তা না হলে কোনো প্রযুক্তিই কাজে আসবে না।
কবিতায় ছন্দ মিলিয়ে ঔপন্যাসিক শওকত ওসমানের এই যোগ্য পুত্র বললেন, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও হিউম্যানওয়ার/ তিন মিললে হয় বিজয়/ মানুষেই আসল পরিচয়/ নইলে পুরোই অপচয়।
হাইড্রোজেন ফুয়েলে দেশ অনেকটাই এগিয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞানী শওকত ওসমান বলেন, কোভিডের সময়ে আমাদের জিন ল্যাবে ২ হাজারে মতো রোগীতের জিন পরীক্ষা করে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রতিবেদন তারা টিকা তৈরির সময় কাজে লাগিয়েছে। আমাদের সময় এসেছে, আরেকবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে।
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে সোমবার রাতে ‘ভিশন ২০৪১: বিল্ডিং স্মার্ট সিটি অ্যান্ড স্মার্ট ভিলেজ ইন বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এই দিক নির্দেশনা দেন এই স্থপতি।