ওপেন এআই চ্যাট জিপিটি দিয়ে ইংরেজি ভাষায় কবিতা লিখেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে প্রয়োজনীয় এমন সব প্রযুক্তি সম্পর্কে ভবিষ্যত প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-কে ‘এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের সারথী’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, এই শিক্ষার্থীরাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এক্ষেত্রে কেবল ভালো ছাত্র-ছাত্রী হলেই চলবে না ভালো মানুষ হতে হবে।
শিক্ষার্থী অবস্থায় নিজের কৈশরের স্কাউটের শিক্ষক ‘আয়্যুব স্যার’-কে সম্বোধন করে তার পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন একজন অসহায় মানুষকে সাহায্য করার অভ্যাস চর্চার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, একটি দেশকে পরিবর্তন করতে পিতা-মাতার পরই রয়েছে শিক্ষকের ভূমিকা। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড জলেও শিক্ষকরা হচ্ছেন শিক্ষার মেরুদণ্ড।
১২দিনব্যাপী ‘চলনবিল শিক্ষা উৎসব-২০২৩’র শেষ দিনে শুক্রবার নাটোরের সিংড়ায় সম্মাননা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
পলক আরো বলেন, আজকে শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যত স্মার্ট বাংলাদেশের নেতা। তাদেরকে আদর্শিক -মানবিক সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই ৪১ সালে মানবিক-স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার পাবো।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা ব্যয়কে খরচ নয়, বিনিয়োগ বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরী করে দেন। ফলশ্রুতিতে বদলে গেছে বাংলাদেশ। বিগত ১৪ বছরে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধারাবাহিক পথ পরিক্রমায় এখন আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে বিশ্ব। বদলে যাচ্ছে উন্নয়নের ধারণা। পরিবর্তনের এই হাওয়া বাংলাদেশের পালেও লেগেছে। আমাদের এবারের স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ-এই চারটি ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটি-এই চারটি প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ শুরু হয়েছে। এই লক্ষ্যে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে গ্রিণ, ক্লিন, সেফটি এবং স্মার্ট করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব সুবিধা গ্রহণ করে আজকের প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাই সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. আতিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান এবং সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানে বিচারপতি জাকিয়া সুলতানা এবং শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানাকে সিংড়া উপজেলার রত্ন সম্মাননা, রত্নাগর্ভা মা সম্মাননা, মরণোত্তর গুণীজন সম্মাননা, অবসরপ্রাপ্ত ও স্মার্ট শিক্ষক সম্মাননা, উপজেলা স্মার্ট ও শতভাগ পাশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্মাননা, কর্ম জীবনে সফল যারা, কেমন তারা ও অদম্য মেধাবী সম্মাননা এবং শিক্ষা উৎসবের গণিত ও ইংলিশ ক্যাম্প সেরা এবং কৃতি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।