চলনবিলের কৃষকদের শস্য উৎপাদন বেড়ে দেড় গুণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। যেখানে সেচের পানির জন্য কৃষকদের হাহাকার করতে হয়েছিল। ১৯৯১ থেকে ৯৬, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ন্যায্যমূল্যে সার, তেল ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করার অপরাধে কৃষকদেরকে জীবন দিতে হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কৃষকদেরকে একটি উন্নত জীবন উপহার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কৃষি এবং কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার কৃষি প্রনোদনার আওতায় সিংড়া উপজেলার ১৩ হাজার ৯ শ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উপহার বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, কৃষকরাই আমাদের অর্থনীতির মেরুদন্ড। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ থেকে ৫০ বছর আগে তার দূরদর্শিতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সম্পদ একটি হচ্ছে বাংলার সোনার মানুষ অপরটি হচ্ছে বাংলার সোনার মাটি।
সিংড়া উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার আল-ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ এলাকার কৃষকগণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী বীজসহ কৃষি উপকরণ ও সেচের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছেন। এর ফলে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে এবং দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
পরে প্রতিমন্ত্রী সিংড়া উপজেলার কৃষকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ধানের বীজ ও সারসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন।
