যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) স্থাপিত হবে একটি ন্যানো টেকনোলজি ল্যাব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঢেউয়ে ভবিষ্যত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও বাণিজ্যে আসন্ন বাঁক বদলে (ডিজরাপশান) নিজেদের খাপ খাওয়াতে বিশ্ববিদ্যলয় পড়ুয়া তরুণদের ন্যানো প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে এই ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে আইসিটি বিভাগ।
বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে রবি আজিয়েটা আয়োজিত “বিডিঅ্যাপস ন্যাশনাল হ্যাকাথন ২০২২” প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ তথ্য দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, গত ১০ বছরে দেশে মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপস, রাইড শেয়ারিং, হেলথ লজিস্টি, ইকমার্স ও ফিনটেক খাতে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই খাত আরো ১০ গুণ বাড়বে। এই বাজারে নিজেদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আইসিটি বিভাগ এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনোমি (এজ) প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সরকার ২০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আটিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, অগমেন্টড রিয়েলিটি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ব্লগচেইন, রোবটিকস, সাইবার সিকিউরিটি, মাইক্রোচিপ ডিজচাইনিংয়ের মতো ফ্রিন্টিয়ার প্রযুক্তি বিষয়ে ‘টপ-আপ’ প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে পলক বলেন, আজকে যারা বিজয়ী হয়েছেন তারাসহ যারা অংশগ্রহণ করেছেন সকলেই যেনো ইন্ডাস্ট্রির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়ে আইসিটি বিভাগকে জানাবেন। সরকার নিজের খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই হিউম্যান রিসোর্স তৈরি করে দেবে। তা ৫ জন বা ৫০ জন যাই হোক না কেনো। এছাড়াও উদ্ভাবনীয় পণ্যের প্রোটোটাইপ তৈরিতে প্রযুক্তি সুবিধাও দেবো। এমনকি আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশ ফেলোশিপ চালু করছি, যেখানে প্রয়োজনে দেশের বাইরের নামকরা ল্যাবে প্রয়োজন হলে ৭ থেকে তিন মাসের স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণ নেয়ার ক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগ ব্যবস্থা নেবে। এরই অংশ হিসেবে আমরা এমআইটির সঙ্গে বুয়েটকে নিয়ে আমরা ন্যানো ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। ট্রেনিং ও টেকনলোজির পরে প্রয়োজন হয় ফাইন্যান্সিং। সেজন্য আমাদের আইসিটি বিভাগের দরজা সকলের জন্য খোলা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই আইডিয়া প্রকল্পে অধীনে সাড়ে ৩০০ জনকে যে সিড মানি দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশই সফল হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি কমাতে স্মার্টআপ বাংলাদেশ থেকে ৫০ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে।