আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিখাতের আধুনিকায়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তার দপ্তরে সাক্ষাতকালে এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত এফএও এর কান্ট্রি রিপ্রেসেন্টেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন।
এছাড়া কান্ট্রি রিপ্রেসেন্টেটিভ বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষি প্রবর্তনের লক্ষ্যে এগ্রিমিশেনারিজ, কৃষিপ্রযুক্তি ব্লেন্ডেড লার্নিং ও কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানান তিনি। এ লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এফএও যৌথভাবে একটি ওয়ার্কশপ আয়োজন করে ২-৫ বছরের একটি রোড ম্যাপ তৈরি করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
এই সময় তারা চতুর্থ বিপ্লবের বাস্তবতায় রোবটিকস, আইওটিসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, মার্কেট ব্যাপ্তি, কৃষিখাতে গবেষণা, কৃষি মার্কেট প্লেস, লোকাল ইনোভেশন ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্ৰহণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জতিসংঘ প্রতিনিধিকে জানান, আইসিটি বিভাগের অধীন ইডিসি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১০টি গ্রাম নিয়ে স্মার্ট ভিলেজ নামে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একশপ, একপে অ্যাপ এর মাধ্যমে কৃষক, ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে কৃষিপণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি বলেন, মডার্ণ টেকনোলজি ব্যবহার ব্যতীত খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ ও স্মার্ট এগ্রিকালচার সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই আধুনিক এগ্রিমিশেনারিজ ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে একাডেমিয়ার সঙ্গ যৌথভাবে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ। এই কাজে এফএও এর এই আগ্রহকে স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি যৌথ অংশীদারীত্বে আমারা বিশ্বের খাদ্যপ্রাপ্যতাকে সহজ করতে সক্ষম হবো।
বৈঠকে আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্টের কান্ট্রি রিপ্রেসেন্টেটিভ আরনড হ্যামিলারস এফএও এবং আইসিটি বিভাগ ও এটুআই প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।