কোভিড-১৯ সরকারের সামনে ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলতা প্রমাণের অন্যতম সুযোগ এনে দিয়েছে বলে মনে করছেন সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকার। জীবনের প্রতিটি স্তরে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ভাবনী টুলস ব্যবহারের মাধ্যমকে দুর্যোগকে সুযোগে পরিণত করার পরামর্শ দিয়েছেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। আর বিসিএস সভাপতি মনে করছেন, করোনায় গৃহবন্দী হলেও ভার্চুয়াল জগতটা তাদের কাছে বেশি মাত্রায় উন্মুক্ত হয়েছে। বাসায় বসেই অফিসের কাজের সংস্কৃতি তৈরিতে গুরুত্ব দিয়েছেন বাক্বো সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ। আর সরকারের সঙ্গে অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের সুযোগ কাজে লাগানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
বেসিস সভাপতি বলেন, রোবটিকস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স চলে আসার কারণে আগামী পোশাক শ্রমিকের মতো বাংলাদেশের সামনে সস্তা শ্রমের দেশ হিসেবে সুবিধা নেয়ার সুযোগ কমে আসছে। এ কারণে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মনযোগী হয়ে বাংলাদেশকে রিব্রান্ডিং করতে হবে।
বিসিএস সভাপতি বলেছেন, করোনা আমাদের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা বেশি মাত্রায় চাচ্ছি।
বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, সামনে যে সুযোগ গুলো আসছে তা চিহ্নিত করতে সব সংগঠনকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। কেননা আমাকে একটা সেবা দিতে হলে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও নেটওয়ার্ক লাগবে। একইভাবে সফটওয়্যার বানাতে গেলেও হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক লাগবে।
আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, খুব দুঃখের বিষয় হলো আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানের জন্য আমরা প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে পারিনি।
ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা প্রথমেই যেটা করেছিলাম সেটা হলো আমরা ভার্চুয়াল অফিসে চলে যাই। এরপর সরকারের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি করার চেষ্টা করি। এর মাধ্যমে ডোরস্টেপে সেবা দিতে সক্ষম হই।
আজ শনিবার (১১ জুলাই) সিটিও ফোরাম আয়োজিত ‘লিডার্স থট ইন কোভিড-১৯’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন তারা।
বৈঠকের সঞ্চালক তপন কান্তি সরকার বলেন, কেভিড সময়ে ছুটি থাকলেও আইসিটি খাতের কেউ লকডাউন বা ছুটিতে থাকতে পারেনি। এই সময়ে মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশে সুবিধা ভোগ করেছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বা আইটি কী। তাই সরকারের প্রণোদনার দিকে চেয়ে না থেকে আইসিটি সংগঠনগুলোর সদিচ্ছা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐকান্তিক ভাবে কাজ করলে নতুন পরিবর্তীত সময় আমাদের জন্য বড় সুযোগ হয়ে দেখা দেবো। এক্ষেত্রে আমরা হবো অগ্রগামী। এজন্য অবকাঠামো ও মানবসম্পদ গঠনে নীতি ও অনুসাশনে প্রয়োজনীয় সংশোধন নিয়ে কাজ করতে হবে।