দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
বুধবার (২৭ জুলাই) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৩০.৬৮% এবং ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৩৭.০১% মানুষ গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন। তিনি জানান, লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৫৫.৮৯%। এদের মধ্যে ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৭২.৩১% জনসংখ্যার নিজে ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে। একইভাবে ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৬৬.৫৩% পুরুষের এবং ৪৫.৫৩% নারীর; ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৮৬.৭২% পুরুষের এবং ৫৮.৮৩% নারীর নিজ ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে।
অপরদিকে ৫ থেকে ১৭এবং ১৮ থেকে তদুর্ধ্ব ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অনুপাত ৩০.৬৮ : ৩৭.০১। এক্ষেত্রে ৫ বছরের নারী পুরুষ অনুপাত ৩৮.০২ : ২৩.৫২ এবং ১৮ বছরের তদুর্ধ্বদের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ৪৬.৫৩ : ২৮.০১।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, উভয় শ্রেণির বয়সীদের মধ্যে নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে এমন জনসংখ্যা সর্বাধিক ঢাকা বিভাগে এবং সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে।
বিবিএসের শুমারি অনুসারে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামের বাসিন্দা। আর শহরের বাসিন্দা পাঁচ কোটি ২০ লাখ নয় হাজার ৭২ জন। দেশে জনসংখ্যার গড় বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১১ সালের শুমারিতে এই হার ছিল ১ দশমিক ৪৬। দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব এক হাজার ১১৯। যা ২০১১ সালে ছিল ৯৭৬। দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬। পুরুষ জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারী জনগোষ্ঠীর এ হার ৭২ দশমিক ৮২।