দেশীয় বাজারে জনপ্রিয় হিটাচি ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে ম্যাক্সেল করার ঘোষণা দিল হিটাচি। এই পরিবর্তনটি কেবল লোগো পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং অন্যান্য সকল সেবাই অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছেন হিটাচি বাংলাদেশের পরিবেশক ইউনিক সিস্টেম লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) রাতে ঢাকার ওয়েষ্টিন হোটেলে হিটাচি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ইউনিক বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানী রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি এবং হিটাচি সিঙ্গাপুরের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার তরুন জাইন এবং প্রফেসর ডাক্তার সাইফুল ইসলাম , ভাইস চ্যান্সেলর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রযুক্তিগত রূপান্তরে অন্যতম সহযোগী হিটাচির নতুনত্ব তাদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়াবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি বিনিময়ে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বেও প্রশংসা আসে বিশেষ অতিথির জাপানী রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু বক্তব্যে।
হিটাচি সিঙ্গাপুরের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার তরুন জাইন বলেন, জাপানী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সেল ও হিটাচি আজ তাদের পণ্যের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিল। মূলতঃ জাপানী এই দুটি কোম্পানির জন্য এটি নতুন নয় বরং স্বাভাবিক। হিটাচি মূলত গুরুত্ব দেয় সামাজিক উদ্ভাবনীতে যেখানে ম্যাক্সেল গুরুত্ব দেয় ব্যবসায়িক উদ্ভাবনীতে। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই হিটাচি পণ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ম্যাক্সেলের স্বতন্ত্র ইমেজিং এবং অপলিক্যাপ প্রযুক্তি এবং এই প্রযুক্তিটি সারাবিশ্বে ক্রেতাদের কাজে জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য। সুতরাং নাম পরিবর্তনের এই ঘোষণা পণ্যেও ডিজাইন হতে বিতরণ পর্যন্ত মান উন্নয়নে সহায়তা করবে যা এই পণ্যের বাজার ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তনে বাংলাদেশে হিটাচি পণ্যের বাজারে বা ক্রেতা সেবার কোন পরিবর্তন হবে না জানিয়ে আব্দুল হাকিম বলেন, আমরা সবসময় ক্রেতা চাহিদা এবং সেবাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছি। সেইসাথে চেষ্টা করি দেশীয় বাজারে নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য উপস্থাপনের। দেশীয় বাজারে আমরাই প্রথম থ্রিএম প্রোজেক্টর বাজারজাত করি। পরবর্তীতে প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বাজার চাহিদা বিবেচনা করে কাজ শুরু করি হিটাচি নিয়ে। বর্তমানে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের বাজার চাহিদা ক্রমবর্ধমান সে সাথে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে অন্যতম হাতিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি। ক্রমবর্ধমান বাজার চাহিদা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ যাত্রায় তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য বাজারকে আরও শক্তিশালী করতেই আমাদের এ সিদ্ধান্ত। নাম পরিবর্তনের ফলে যারা বর্তমানে হিটাচি ব্যবহার করছেন বা করবেন তাদের কোনরূপ জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে না বরং এই পরিবর্তন ক্রেতাদের দ্রুত এবং উন্নত সেবা প্রদানে সাহায্য করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পণ্য সেবা, ওয়ারেন্টি সবকিছুই অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, হিটাচি বাংলাদেশে ১৯৯৭ সাল থেকে নিয়মিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এরপর ২০১৩ সালে হিটাচি প্রোজেক্টরের ব্যবসার অধিগ্রহণ করে ম্যাক্সেল। পরে পর্যায়ক্রমে অঞ্চলভিত্তিক বাজারে পণ্য বাজারজাতকরণে পরিবর্তনের উদ্যোগ আসে হিটাচির পক্ষ থেকে।