নীতিমালা অনুমোদনের প্রায় দেড় বছর পর লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো। আর এর মাধ্যমে রাইড সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার পেতে যাচ্ছে বিআরটিএ। লাইসেন্স প্রদানের সঙ্গে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ভ্রমণের দূরত্ব অনুযায়ী সবোর্চ্চ ভাড়া নির্ধারণ করেদেবে সংস্থাটি।
তবে আপাতত ন্যাশনাল ইমারজেন্সি হেল্পলাইনে (৯৯৯) কল করার ব্যবস্থা ছাড়াই আগামী ১ জুলাই থেকে এই লাইসেন্স (এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট) পেতে যাচ্ছে উবার, পাঠাও, ওভাই, পিকমি, আমার রাইড, স্যাম এবং সহজ’র মতো অ্যাপভিত্তিক রাইড সেবাদাতা কোম্পানি।
অবশ্য জুলাইয়ের শেষ নাগাদ রাইডশেয়ারিং অ্যাপগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে ৯৯৯।
ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক শেষে লাইসেন্স দেয়ার এই তারিখ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
লাইসেন্স দেয়ার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) মো. লোকমান হোসেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জুলাই থেকেই ‘রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে’ লাইসেন্স দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিটিআরমি সূত্রে জানাগেছে, গত বছরের ২২ এপ্রিল রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পাঠাও লাইসেন্সের জন্য প্রথম আবেদন করে।পরে ওভাই সলিউশনস লিমিটেড, উবার বাংলাদেশ লিমিটেড, পিকমি লিমিটেডসহ ১৬টি কোম্পানির আবেদন জমা হয়।
আবেদন পাওয়ার পর ১০টি কোম্পানির কার্যক্রম পরিদর্শন করে বিআরটিএ। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে রাইড শেয়ারিং নীতিমালার কিছু ধারা পূরণ না করায় লাইসেন্স দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু লাইসেন্স না পেলেও কোম্পানিগুলোর সেবাও বন্ধ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি বিআরটিএর প্রণীত ‘রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা ২০১৭’ অনুমোদন করে সরকার। নীতিমালাটা ওই বছরের ৮ মার্চ থেকে কার্যকরের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা হয়ে ওঠেনি।