নারীদের জন্য ই-কমার্স খাতটি অমিত সম্ভাবনার জয়গা উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এখন গ্রামে বসেই আচারের বাণিজ্যিকী করণ করেও নারীরা সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) স্টার্টআপ বাংলাদেশ আয়োজিত “ই-কমার্স নিশ্চিত করতে পারে সারাদেশের নারীদের আর্থিক অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ণ” শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে ইন্টারনেট, ডেলিভারি ও পেমেন্ট অবকাঠামো প্রস্তুত। এখন উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বস্ততা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। চাকরি করার চেয়ে চাকরি সৃষ্টির প্রতি মনোযোাগী হতে হবে।
তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর প্রযুক্তি সেবাকে কাজে লাগিয়ে ই-কমার্স নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বক্তব্যে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্মার্ট বাজেট উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাজেটে ৩টি বিষয় আমার কাছে গুরুত্ব পেয়েছে। প্রথমেই বলবো স্টার্টআপ ফান্ড’র কথা।
তিনি বলেন, বিশ্ব এখন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা দিয়ে চলছে। এখন কম্পিটিশন বা প্রতিযোগিতার সময় নয়। সময় এখন কোলাব্রেশনের পৃথিবী। এখন কোক্রিয়েশন ও কো ফান্ডের সময়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল আমরা নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তায় কাজে লাগাতে পারবো।
পলক জানান, ই-ক্যাব নিবন্ধিত হওয়ার পর থেকে দেশে নিবন্ধিত উদ্যোক্তার সংখ্যা ১০ গুণ বেড়েছে। এক্ষেত্রে সফটওয়্যার ও ই-কমার্স ভিত্তিক প্রযুক্তি উদ্যোক্তার সংখ্যাই বেশি। উদ্যোক্তা ও নারীদের ক্ষমতায়নে আইসিটি বিভাগ বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এসব প্রকল্প বিশ্বদরবারে অনুকরণীয় ও প্রশংসনীয় হচ্ছে। সম্পদের সমান বণ্টন করে প্রকল্পগুলো থেকে সুফল মিলছে।