উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে দেশময় ছড়িয়ে দিতে আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ‘টাইগার চ্যালেঞ্জ’। এই চ্যালেঞ্জ বিজয়ীদের জন্য থাকছে বিজয়ীদের জন্য ২ কোটি টকা। উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপনের এই কর্মযজ্ঞ চলবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জের টিকেট পাবেন বাংলাদেশ পর্বের সেরা প্রকল্প। এক্ষেত্রে মিলবে ১.৫ মিলিয়ন ডলারের ইকুইটি ফান্ডের ব্যবস্থা।
যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে টাইগার আইটি ফাউন্ডেশন ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি সল্ভ প্রকল্প)।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকাল ৩টায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সুরমা কক্ষে ঘোষণা করা হবে এই চ্যালেঞ্জের বিস্তারিত। সেখানেই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় উপস্থিত থাকবেন টাইগার আইটি বিজ্ঞানী ইলিয়া নিকিফোরোভ।
সূত্রমতে, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিও’র পর এবারই প্রথম কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় অংশীদার হয়েছে এমআইটি।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি ‘র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের বিজনেস অ্যানালিস্ট রাগিব ইয়াসির ডিজিবাংলা-কে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কল্যাণে অবদান রাখবে এমন যে কোনো টেকসই ও উদ্ভাবনী ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতেই ‘ টাইগার চ্যালেঞ্জ’ উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এই আয়োজনটি হবে দুইটি পর্বে। বাংলাদেশ পর্বে ফাইনালিস্টদের মধ্যে একটি উদ্যোগকে সেরা ঘোষণা করা হবে। উদ্যোগ বাস্তবায়নে পুরস্কার দেয়া হবে ২ কোটি টাকা।
এছাড়াও বৈশ্বিক পর্বে চূড়ান্ত বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১.৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১২ কোটি টাকার বিনিয়োগ। তবে সেই প্রতিযোগিতার দিনক্ষণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
রাগিব ইয়াসির বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের সমকক্ষে যাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের একটি উদ্ভাবনী প্রজন্ম গড়ে তোলা। আর এ জন্য ব্যক্তি–পরিবার–প্রতিষ্ঠান তথা সর্বস্তরে একটি উদ্ভাবনী সংস্কৃতি চালু করা প্রয়োজন যাতে নতুন প্রজন্ম সৃজনশীল হিসেবে তৈরি হয়।
প্রতিযোগিতা বিষয়ে এমআইটির সলভ প্রোগ্রামের সহযোগী কর্মকর্তা নোয়া লিভি বলেন, ‘এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য এমন উদ্ভাবন খুঁজে বের করা যা একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। উদ্ভাবক এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হবে এই আয়োজনের মাধ্যমে। দুই ধাপে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে শুধু বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের নিয়ে এবং দ্বিতীয় ধাপে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করবেন।’