মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে ১১শ’ ২০ কোটি টাকা। এছাড়াও বছর ব্যবধানে মোবাইল ব্যাংকিং-এ লেনদেন বেড়েছে ১৪০ কোটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ। লেনদেনে টাকার পরিমাণ ছিলো ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১১শ’ ২০ কোটি টাকা।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে মোট গ্রাহকের সংখ্যা ছিলো ৬ কোটি ৭৩ লাখ। এর মধ্যে সক্রিয় গ্রাহক ছিলো ৩ কোটি ৩৪ লাখ। এ সময়ে এজেন্টের সংখ্যা ছিলো ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৬ জন।
একইসময়ে ৩৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ই-কর্মাসের পরিমাণ পরিমাণ ছিলো সাড়ে ৪ কোটি টাকা। এই সেবার মাধ্যমে রেমিট্যান্স দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
তবে একই বছরের মার্চে এসে এজেন্ট ও লেনেদেন বাড়লেও কমে গেছে সক্রিয় গ্রাহক। মার্চে এজেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১৯ হাজার ১৯১। আর ওই মাসে সক্রিয় গ্রাহক পাওয়া গেছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৫৮ হাজার। এই গ্রাহকদের মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এ সময়ে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার।
কোন অ্যাকাউন্ট থেকে টানা তিন মাস লেনদেন না হলে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস’র পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরাঞ্চলে এটিএম সেবার পরিধি বাড়লেও উপজেলা ও গ্রামীণ হাটবাজারে সেভাবে বিস্তৃতি লাভ করেনি। আবার শহরেও গ্রাহকরাও এটিএম দিয়ে টাকা তুলে খরচ করতেই বেশি পছন্দ করছেন।
অন্যদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খোলা, পরিচালনা ও লেনদেনে আরও বেশি কড়াকড়ি আরোপ করায় এখন একজন ব্যক্তি একটি সিম দিয়ে যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় একটি মাত্র হিসাব চালু রাখতে পারবেন। এছাড়াও একজন গ্রাহক তার মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসে (এমএফএস) সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকার স্থিতি রাখতে পারবেন। এর আগে এই বিধিনিষেধ ছিল না। কোনো হিসাব থেকে ৫ হাজার বা তদুর্ধ্ব নগদ অর্থ জমা বা উত্তোলনে গ্রাহকের পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ডের ফটোকপি প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিষয়টি এজেন্ট তার রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করবেন। রেজিস্ট্রারে গ্রাহকের স্বাক্ষর বা টিপসই সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোন এজেন্ট এই ধরনের কার্যাদি যথাযথভাবে সম্পন্ন না করলে বা গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে এজেন্টশিপ বাতিল করারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই কড়াকড়ি আরোপের পর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা কমেছে। যদিও এই সময়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অনুমোদন রয়েছে।