সিআইএমএস (সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) সফটওয়্যারে সফলতা পাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অপরাধী সনাক্তে সহায়তা করছে প্রযুক্তি ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।
শনিবার (১৫ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সফলতার চিত্র তুলে ধরেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
তিনি বলেন, ডাটাবেজের কারণে যারা পরিচয় গোপন করে ঢাকায় বাড়ি ভাড়া নিতে চান তারা এখন ভাড়া নিতে পারছেন না। এছাড়া এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভিকটিম, অপরাধী শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কারণ সংরক্ষিত তথ্যে একজন ব্যক্তির জন্য আলাদা ইনডেক্স রয়েছে। ফলে একজন ব্যক্তি এলাকা পরিবর্তন করলেও আমরা তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারি।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনা আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর অপরাধের মাত্রা কমে এসেছে। এছাড়া কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার উদঘাটনের হার ৯০ শতাংশের উপর বেড়েছে। আগে ৫০ শতাংশের বেশি রহস্যের উদঘাটন করা যেত না।
তিনি আরো বলেন, রাজধানীতে আমরা হাজার হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। এর মাধ্যমে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যেই আমরা মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে ককটেল হামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনের কাছাকাছি চলে এসেছি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৭ জনের তথ্য সংগ্রহ করে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিআইএমএস) সংরক্ষণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এদের মধ্যে দুই লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন বাড়িওয়ালা, ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪ জন ভাড়াটিয়া, পরিবারের সদস্য ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন, মেস সদস্য এক লাখ ২১ হাজার ৪০ জন, চালক ও গৃহকর্মী ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জন রয়েছেন।