টেলিকম সেবা নিয়ে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে চলছে গণ-শুনানি। ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ শীর্ষক এই শুনানি শুরু হয় বেলা ১১টায়।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের উপস্থিতিতে শুনানি পরিচালনা করেন সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক এবিএম হুমায়ুন কবির।
বেলা একটা পর্যন্ত ২০ জনের মত প্রশ্ন করেছেন। প্রত্যেকেই একাধিক প্রশ্ন করছেন। সেবার মান, কল ড্রপ, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্যাকেজ ও মূল্য নিয়ে অসোন্তষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ প্রশ্নকর্তারা।
অতিথিদের কাতারে বসে নিশ্চুপ এসব অভিযোগ শুনছেন টেলিকম অপারেটররা। এই কাতারে উপস্থিত আছেন গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি, রবি’র সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংক সিইও এরিক অস প্রমুখ। আজ তাদেরকে শুধু অভিযোগ শুনতে হবে।
পরবর্তীতে এসব অভিযোগ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাইবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তবে শুনানি শেষে অভিযোগ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মতামত দেবেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান।
জানাগেছে, অনলাইনে আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে ২০২ জন গ্রাহক অভিযোগ করছেন। এদের মধ্য থেকে শুনানিতে ডাকা হয়ছে ১৬৫ জনকে।
টেলিযোগাযোগ সেবা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গণশুনানির আয়োজন করল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খাঁন বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ শীর্ষক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুনানিতে অংশ নিতে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী, ভোক্তা সংঘ, সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীসহ আগ্রহীদের মধ্যে প্রায় এক হাজার ৬০০ জন নিবন্ধন করেছেন।
তিনি জানান, অপারেটরদের সেবা বিষয় ছাড়াও সাইবার অপরাধ, মোবাইল ফোনে হুমকি, ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য টেলিকম সেবাদানকারীদের প্রদত্ত সেবার বিষয়ে জনসাধারণ অভিযোগ ও এ সম্পর্কিত বিভিন্ন মতামত নেওয়া হবে।
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মার্চে মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার এবং ইন্টারনেট গ্রাহক নয় কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার।
পূর্বে মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে সরাসরি ভোক্তা সাধারণের মতামত জানতে প্রথমবারের মতো বিটিআরসি ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর গণশুনানির আয়োজন করেছিল।