বিশ্বজুড়েই মানুষের মানসিক ব্যাধিতে আক্রন্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ১৩.৪%-২২.৯% শিশু এবং ৬.৫%-৪.৪% শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত। এর বাইরে ৪.১ শতাংশ মানুষ বিষণ্ণতা এবং ৪.৪ শতাংশ উদ্বেগের শিকার। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী নারী হলেও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীগত কারণে বিষয়টি সেভাবে প্রকাশ করা হয় না।
এসব তথ্য নিয়ে দেশের নারীদের জন্য বাংলাভাষায় উন্মোচন করা হলো নারী ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট। ওয়েব ঠিকানা www.wmh.iwellbeing.org। ওয়েবের মাধ্যমে নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবও তুলে ধরা হয়েছে এখানে। আছে মিথ এবং ফ্যাক্টস।
আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের এটুআই ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গার্লস ইন আইসিটি ডে ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুন নেসা, বেসিসের সিনিয়র সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান, প্ল্যান বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর লরা কারিয়াডো লাইফিউন্তে, গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বর্তমানে দেশে মেয়েদের আধিপত্যের সময় বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, বর্তমান মানবসভ্যতার শুরু হয়েছিল মাতৃতান্ত্রিক সমাজ থেকে। এখন এসে সেই নারীরা তথ্যপ্রযুক্তিসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে। বিশেষ করে মনন ও সভ্যতায় মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে। পরীক্ষা পাশের হারে, জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে মেয়েরা যা পারছে ছেলেরা তা করতে পারছে না। মেয়েরা যেখানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে, পরিবেশ পেয়েছে সেখানে অসাধ্য সাধন করেছে।
অনুষ্ঠান শেষে ‘উইমেনস ইনোভেশন ক্যাম্প ২০১৮’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে ১ লক্ষ টাকার প্রাইজমানি তুলে দেন মন্ত্রী।