বাংলদেশে প্রতি বছর অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। থেমে নেই এই মহামারির সময়ও। দেশে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির বাজার বৃদ্ধি ও এইখাতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে প্রয়োজন ব্যবসাবন্ধব পলিসি।
১৮ এপ্রিল, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট: প্রেজেন্ট শিচুয়েশন অ্যান্ড ফিউচার প্রসপেক্টস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খাত সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইফাদ গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাসকিন আহমেদ। তিনি জানান, দেশে রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্মের জন্য অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির প্রবৃদ্ধি হয়েছে। দেশে এখনো আমদানি করা গাড়ির আধিপত্য। দেশে মোট যানবাহনের ৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ৫ শতাংশ প্রাইভেট কার, ৩ শতাংশ পিকআপ, ৩ শতাংশ অটো-রিকশা, ৩ শতাংশ বাস-ট্রাক ও মাইক্রোবাস ২ শতাংশ।
প্রাইভেট কার মার্কেটের মধ্যে দেশের ৯৫ শতাংশ গাড়িই আমদানি হয় জাপান থেকে। প্রাইভেট কারের মধ্যে ৫০ শতাংশ রিকন্ডিশন এবং ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন গাড়ি। বাণিজ্যিক যানবাহন তৈরিতে দেশে সবচেয়ে বড় মার্কেট ধরে রেখেছে নিটল মটরস এবং ইফাদ অটোস।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আব্দুল হক তার বক্তব্যে জানান, অটোমোবাইল পলিসি ব্যবসা বান্ধব হলে দেশে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি বৃদ্ধি পাবে।
অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট। এই ইন্ডাস্ট্রি রক্ষায় সঠিক পলিসি দরকার, এমন মন্তব্য করে আব্দুল হকের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ উহো হায়াকাওয়া।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানান, বাংলাদেশে জাপানের সিকেডি বিনিয়োগ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার বক্তব্যে পলিসির পাশপাশি ট্যাক্স ইনসেনটিভের বিষয়টিও উঠে আসে।
পলিসিসহ অনুষ্ঠানে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির বাজার বৃদ্ধিতে সেগুলো নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উত্তরা মটরস এর চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌহিদুজ্জামান প্রমুখ।