প্রযুক্তির কঠোর নজরদারিতে রবিবার থেকে শুরু হলো চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে সারাদেশের ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এক যোগে চলছে এ পরীক্ষা।
প্রশ্নফাঁস ঠেকানোসহ কেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারছেন না। কেন্দ্র সচিব শুধু একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারছেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। ফেসবুক ও মোবাইল লেনদেন নজরদারি শুরু করেছে বিটিআরসি।
পাশাপাশি গুজব রোধেও নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। যারা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
পরীক্ষা শুরুর পর রাজধানীর বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস না হওয়ার জন্য আমরা সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। সার্বক্ষণিক এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনিটরিং করবে। সুতরাং কোনোভাবে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই।
এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
ঢাকা আন্তঃশিক্ষা বোর্ডর সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, ‘ইতোমধ্যে ফেসবুক ও মোবাইল লেনদেন নজরদারি শুরু করেছে বিটিআরসি। এছাড়াও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের বিষয়েও সজাগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।’
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়রম্যান বলেন, ‘সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের পেজ দ্রুত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য ফেসবুকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবে। যদি কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অংকের টাকা লেনদেন হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।’