মেটা ছেড়েছেন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি’র অগ্রদূত খ্যাত মার্কিন প্রোগ্রামার ও প্রযুক্তি পরামর্শক জন কারম্যাক। প্রযুক্তি প্রধান হিসেবে ৮ বছর দায়িত্ব পালনের পর টুইটার ও ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে কোম্পানি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারম্যাক।
এর আগে তার লেখা অভ্যন্তরীণ একটি মেমো ফাঁস করে মার্কিন প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার। যেখানে মেটার ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়ালিটি প্রচেষ্টা নিয়ে সমালোচনা করেন কারম্যাক।
I resigned from Meta, and my internal post got leaked to the press, resulting in some fragmented quotes. Here is the full thing: https://t.co/iUcr8TYMLD
— John Carmack (@ID_AA_Carmack) December 17, 2022
টুকরো টুকরো মেমো নিউ ইয়র্ক টাইমসেও প্রকাশ হয়। মেমো’র সত্যায়ন করে ফেসবুক পোস্টে সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া পুরো বার্তাও প্রকাশ করেন তিনি। যেখানে তিনি বলেছেন, “ভিআর খাতে এটিই আমার দশকের সমাপ্তি।”
কারম্যাক মেমোটি শুরু করেন ‘কোয়েস্ট ২’ হেডেসেটের প্রশংসা করে। সেখানে তিনি ডিভাইসের ভেতর ও বাইরের ট্র্যাকিং ব্যবস্থা, পিসি স্ট্রিমিং সুবিধা, খরচ কার্যকারিতা ও ‘৪কে’র কাছাকাছি স্ক্রিন রেজুলিউশনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
“বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নিলে ডিভাইসটি তুলনামূলক ‘দ্রুত আসতে’ ও ‘ভালো করতে’ পারতো” বলেও আক্ষেপ করেন কারম্যাক।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেটার সঙ্গে কারম্যাকের মূল সমস্যাটি ছিলো কোম্পানির দক্ষতা নিয়ে।
তিনি লিখেছেন, “আমাদের কাছে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জনবল রয়েছে। তবে, আমরা ক্রমাগত নিজেদের ক্ষতি করে এইসব প্রচেষ্টা নষ্ট করছি।”
সমালোচকদের আঙুল তোলার আগেই এই নির্বাহী কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দিলেন, “এতে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার’ কোনো উপায় নেই; আমি মনে করি, যতোটা পেলে আমি সন্তুষ্ট হতাম, তার অর্ধেক দক্ষতা নিয়ে কাজ করছে কোম্পানিটি।” তবে ‘শীর্ষ পর্যায়ের এক কণ্ঠস্বর’ হিসেবে তিনি ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো কোম্পানির ভেতরে দরকারি পরিবর্তন আনতে পারবেন।
কোনো বিশদ উদাহরণ না দিলেও পত্রে কারম্যাক উল্লেখ করেছেন, তিনি যেসব বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানাতেন, তার বেশিরভাগই বাস্তবায়িত হতে এক বা দুই বছর সময় লেগেছে, যখন সমস্যাগুলো ‘গলায় গিয়ে ঠেকেছে’। এমনকি সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়েও, সমস্যা তৈরির আগে সেগুলো বন্ধ করতে, দিকনির্দেশনা দিতে বা কোনো দলকে কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
মেমো’র প্রায় শেষ পর্যায়ে কারম্যাক স্বীকার করেন, এই লড়াই করে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, ভিআর বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের কাছে মূল্যবান হতে পারে ও এটি বাস্তবায়নে কোন কোম্পানিই মেটার চেয়ে ভালো অবস্থানে নেই।