নভোচারী পাঠানোর উদ্দেশ্যে তৈরি কোনো নভোযানের সবচেয়ে দূরের পথ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড এখন আর্টেমিসের ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটের দখলে। শনিবার নিউ ইয়র্ক স্থানীয় সময় আনুমানিক সকাল ৮:৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭:৪০ মিনিট) এই রেকর্ড করে ওরিয়ন। সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১৭ মিনিট) পৃথিবী থেকে প্রায় চার লাখ এক হাজার সাতশ ৯৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলো মহাকাশযানটি।
এতেদিন ১৯৭০ সালে চন্দ্রাভিযান ছিলো পৃথিবী থেকে দূরে যাওয়া কোনো মানববাহী নভোযানের রেকর্ড।
সে রেকর্ড ভেঙেছে আর্টেমিস ১।
ওরিয়নের ব্যবস্থাপক জিম গেফ্রি এক টুইটে বলেছেন, “আর্টেমিস ১ মিশনের নকশা হয়েছিলো ওরিয়নের সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে। আর দূরবর্তী কক্ষপথে ক্যাপসুলের পরিক্রমণকে এর সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে বিবেচনা করেছি আমরা।”
মহাকাশ যাত্রায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করা অ্যাপোলো ১৩ এর মূল পরিকল্পনায় ছিলো না। মিশন চলাকালে অক্সিজেন ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটায় একে ভূপৃষ্ঠে ফেরানোর নতুন পরিকল্পনা সাজাতে বাধ্য হয় নাসা। এর ফলেই, পৃথিবী থেকে প্রায় চার লাখ একশ ৭১ কিলোমিটার দূরে পাড়ি জমানোর রেকর্ড করেছিল মহাকাশযানটির ‘ওডিসি’ ক্যাপসুল।
অ্যাপোলো ১৩’র চন্দ্রযান অ্যাকুয়ারিয়াসে সীমিত অক্সিজেন সরবরাহ থাকায়, একে যত দ্রত সম্ভব পৃথিবীতে ফেরাতে চেয়েছিল নাসা।
নভোচারী জিম লাভেল, জ্যাক সুইগার্ট ও ফ্রেড হাইসের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন মহাকাশযানটির বিদ্যুৎ প্রকৌশলী আর্তুরো ক্যাম্পোস।
তিনি একটি জরুরী পরিকল্পনা লিখে পাঠান, যা পৃথিবীতে ফিরে আসার পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিয়েছিল মহাকাশযানের ‘কমান্ড অ্যান্ড সার্ভিস মডিউল’কে। প্রয়াত আর্তুরোর নামেই একটি ডামি পুতুল বহন করছে আর্টেমিস-১।
ডিসেম্বরের ১১ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের স্যান দিয়েগো উপকূলে অবতরণ করার কথা রয়েছে ওরিয়নের।
ডিবিটেক/বিএমটি