অ্যাকাউন্ট যাচাই বা ভেরিফায়েড করে ‘নীল টিক’ নেওয়ার সুবিধা আবার চালু করতে যাচ্ছে টুইটার। একই সঙ্গে বন্ধ থাকা টুইটার অ্যাকাউন্টগুলোর জন্য ‘সাধারণ ক্ষমার’ ঘোষণা দিয়েছেন ইলন মাস্ক। আগামী সপ্তাহ থেকে এই প্রক্রিয়া দুটি শুরু হবে বলে ভিন্ন টুইট করেছেন তিনি।
টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক শুক্রবার এক টুইটে জানিয়েছেন, কোনো অ্যাকাউন্টকে নীল টিক দেওয়ার আগে সেগুলো যাচাই করবেন টুইটারের কর্মীরা। তবে এখন থেকে টুইটারের ভেরিফায়েড সেবার চিহ্নের রং হবে তিনটি। প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘সোনালি টিক’, সরকারি অ্যাকাউন্টগুলোর জন্য ‘ধূসর টিক’ আর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের জন্য ‘নীল টিক’ চালু হবে।
So every individual verified as a public official or $8 payment will have the same check?
Will they be customizable?
Will there be a red check for those that commit fraud but verified #NYT?— Crypto King (@Cryptoking) November 25, 2022
নীল টিক দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যক্তি বা তারকার পার্থক্য করা হবে না। এভাবে ভেরিফায়েড সেবা দেওয়া কষ্টকর হলেও তা জরুরি বলে মনে করছেন মাস্ক।
এদিকে বন্ধু অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া বিষয়ে টুইটারে সমীক্ষা পরিচালনার পর বৃহস্পতিবার তা চালুর কথাও জানিয়েছেন ৭দিনেই পরিচয় পাল্টানো চিফ টুইট। সমীক্ষায় প্রায় ৩১ লাখ ৬০ হাজার ব্যবহারকারী অংশ নেন এবং স্থগিত অ্যাকাউন্ট আবারও চালুর পক্ষে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পড়ে। সমীক্ষার ভোটগ্রহণ বন্ধের পর টুইট করে মাস্ক বলেন, ‘জনগণ তাদের মত প্রকাশ করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে সাধারণ ক্ষমা শুরু হবে।’
https://www.bbc.com/news/business-63752208
কিন্তু আরেক পরিকল্পনা নিয়ে অনেকটায় বেকায়দায় পড়তে পারেন ইলন মাস্ক। ওই পরিকল্পনাটি বাজারের শীর্ষ টেক জায়ান্ট অ্যাপল ও গুগলের সঙ্গে সংঘর্ষের পথে যেতে পারে বলে বিশ্লেষণ প্রতিবেদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি। বলা হচ্ছে, ‘টুইটার ২.০’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাস্ক যে পরিবর্তনগুলো আনতে চাইছেন, তা অ্যাপল ও গুগলের অ্যাপ নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে এবং এর ফলে উভয় কোম্পানির অ্যাপ স্টোর থেকে টুইটার অ্যাপ মুছে দেওয়া হতে পারে।
অ্যাপের লাভ থেকে গুগল বা অ্যাপল যে পরিমাণ অর্থ কেটে রাখে, তা নিয়ে আপত্তি করায় এই শাস্তি হতে পারে ইলন মাস্কের। মার্কিন বিচারবিভাগের ‘বাজার প্রতিযোগিতা’ বিভাগকেও ট্যাগ করে টুইটে মাস্কের অভিযোগ, “আইওএস/অ্যান্ড্রয়েড ডুয়োপলির কারণে অ্যাপ স্টোরের ফি স্পষ্টভাবেই মাত্রাতিরিক্ত। ইন্টারনেটের ৩০ শতাংশ গোপন ট্যাক্স এটা।” এরপর থেকেই মার্কিন বিচারবিভাগ অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে প্রযুক্তি বাজারে। এমন পরিস্থিতিতে গুগল-অ্যাপলের রোষে পড়তে পারে মাস্কের টুইটার।