চার মাস ধরে নাগরিকদের ‘স্পর্শকাতর ডেটা’ কিনছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান বাবেল স্ট্রিটের কাছ থেকে ব্যবহারকারীদের ডেটা কিনতে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ডলার খরচ করেছে মার্কিন সরকারের নির্বাহী বিভাগটি।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থাগুলোসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারকারীদের স্পর্শকাতর ডেটা সরবরাহে দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিতে বিতর্কিত অবস্থানে রয়েছে বাবেল স্ট্রিট। যদিও ওয়াশিংটন ডিসির এই প্রতিষ্ঠানটি লিংকডইন প্রোফাইলে নিজেদের পরিচয় দিয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এআই সক্ষমতার ‘ডেটা-টু-নলেজ’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট জানিয়েছে, দু’টি চুক্তির অধীনে এই তথ্য সংগ্রহ করছে মার্কিন কোষাগার বিভাগ। এর একটি চুক্তি হয় চলতির বছরের জুলাই এবং অপরটি সেপ্টেম্বর মাসে। কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘ফোর্থ অ্যামেন্ডমেন্ট’ বা চতুর্থ সংশোধনীকে অবজ্ঞা করে ওই চুক্তির মাধ্যেমে ডেটা সংগ্রহ করছে মার্কিন সরকারের কার্যনির্বাহী বিভাগটি।
আর ওই চুক্তির অধীনে ‘অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল’ (ওএফএসি) তদন্তকারীরা বাবেল স্ট্রিটের ‘লোকেট এক্স’ টুলের মাধ্যমে থেকে মোবাইল অ্যাপের অবস্থান ডেটায় প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে অলাভজনক সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট। সোজা কথায়, সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট ও ফোরাম আলোচনার মতো অনলাইন কার্যক্রম দেখে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ।
এ রকম কন্টেন্ট দেখা আইনত বৈধ হলেও ব্যাবেল স্ট্রিটের কাছে ব্যবহারকারীদের ঠিকানা ও বৈবাহিক অবস্থার মতো বায়োমেট্রিক ডেটাও চেয়েছে মার্কিন কোষাগার বিভাগ; যা দিয়ে একজন ব্যক্তির প্রোফাইল দাঁড় করানো সম্ভব।
এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মার্কিন সরকার “আক্রমণাত্মক নজরদারি”র পরিধি বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন টেক ইনকোয়্যারি প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক পোলসন। এনগ্যাজেট জানিয়েছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে নতুন আইন পাশের চেষ্টা করছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। প্রস্তাবিত আইনে ব্যবহারকারীদের ডেটা ক্রয়ের জন্য আদালতে অনুমতি নিতে হবে সরকারি সংস্থাগুলোকে।