স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, করোনা কালে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুবিধাগুলো ভোগ করেছি। বাংলাদেশের মতো বড় জনসংখাকে সম্পূর্ণ ভাবে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দিতে হলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরকে ঢেলে সাজিয়ে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করতে প্রয়োজন বড় রাস্তা, খেলার মাঠে এবং প্রতি মহল্লায় একটি করে মানসম্মত প্রাইমারি স্কুল। একই সাথে নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি বান্ধব করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
শনিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার শেষ দিন স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে প্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সেমিনারের সূচনা বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা থেকে একটি ব্যতিক্রমী মেলা। এটি শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জনের একটি জায়গা। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেকেই এই মেলায় অংশগ্রহণ নিয়েছে এবং নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে নারায়ানগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি প্রজেক্ট বাস্তবায়নে দপ্তর গুলোর সমন্বয়হীনতাকে সমালোচনা করেন। একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর এবং একটি পৌরসভাকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করতে বাধাগুলিকে চিহ্নিত করে পরবর্তী পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন আইসিটি ও টেলিকম খাতের বিশ্লেষক টি আই এম নূরুল কবির।
বিটিআরসি স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কারণে এই দেশ একটি ডিজিটাল সরকার পেয়েছে। জনগণ ডিজিটাল সুবিধা গুলোর সাথে সংযুক্ত হতে পেরেছে।
তিনি আরো বলেন, “আমরা সাবমেরিন কেবল এর মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ বাড়ানোর কাজ করছি। মূলবক্তা ড. বি এম মইনুল হোসেন তার কথায় বলেন, “স্মার্ট সিটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইসিটি ব্যবহার সহজ ব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতা বাড়ায়, জনগণের সাথে তথ্য বিনিময় করে সর্বোপরি মানসম্পন্ন সরকারি পরিষেবা এবং নাগরিক কল্যাণ নিশ্চিত করা হয়।
স্মার্ট সিটি প্রযুক্তি সরকার এবং সমাজের মাঝে সমন্বয়ে করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন করাতে পারে। এসব কিছুর উদ্দেশ্য হলো নাগরিকদের জীবন মান উন্নয়ন করা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বর্তমান চিত্র হচ্ছে ৫৫ শতাংশ শহরে মানুষের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই ২৩ হাজার ২৩৪ জন লোক ঢাকা শহরের প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করে। এতগুলো মানুষকে ফ্যাসিলিটেড করতে হলে স্মার্ট না হয়ে উপায় নেই।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি ইমদাদুল হক, এমটব এর সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ হোসেন (অব:) এবং সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এর এমডি এবং সিইও আরিফ আল ইসলাম।