ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩ এর ইনোভেশন কর্নার যেন এক উদ্ভাবনের রাজ্য
অগ্নি নির্বাপক রোভার, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভি আর), কৃত্রিম রোবটিক হাত, ইলেকট্রিক সাইকেল, কি নেই সেখানে। ছোট থেকে বোরো সবাই উৎসুক হয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছেন প্রতিটি ষ্টল।
ভি আর গিয়ার্ পড়ে রীতিমতো ঘুড়ে দেখছে মহাকাশযান। মহাকাশজানে ভি আর হ্যান্ড গিয়ার্ বাবহার করে ধরে দেখছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। এ যেন এক বাস্তব অভিজ্ঞতা।
প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর ভি আর এ সামনাসামনি দেখে দশনার্থীরা মুগ্ধ। ইনোভেশন কর্নারে তরুণ প্রজন্ম গুড়ে দেখছে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়ি। মেলায় ঘুরতে এসে স্কুল ছাত্র ফেসিয়াল ফাহিম বলেন, ভি আর এর মাদ্ধমে তিনি জাতির পিতার সম্পর্কে আরো ভালো ভাবে পরিচিত হতে পেরেছেন। “নতুন প্রজন্মকে সচেতন করাই আমাদের লক্ষ্য”, বলেন স্টলের আয়োজকরা।
মাত্র ৪ টাকা প্রতি কিলোমিটার বিদ্যুৎ খরচে চালিত হচ্ছে ইলেকট্রিক সাইকেল। ব্যাটারীতে এক বার সম্পূর্ণ ভাবে চার্জ করে চালানো যাবে ৬০ কিলোমিটার। চার্জ ফুরিয়ে গেলে সাইকেলটি চালানো যাবে পায়ে প্যাডেল করে।
জন্মগত বা দুর্ঘটনা জনিত কারণে যারা কব্জি থেকে হাত হারিয়েছেন, তাদের জন্য চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা জয় বড়ুয়া ছাত্র নির্মাণ করেছে কৃত্রিম রোবটিক হাত। মস্তিষ্ক থেকে নার্ভ সিগন্যাল রিসেপ্টরে গ্রহণ করে ব্যাবহারকারী কৃত্রিম হাতটি বেবহার করতে পারেন। সুস্থ হাতের মতো এখনো এই কৃত্রিম হাতটি ব্যবহার করা না গেলেও এই তরুণ উদ্যোক্তা আমাদের জানান, “যদিও এখন হাতটি মাত্র ১ কেজি ভার বহন করতে পারে, কিন্তু এই হাতটির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমরা আরো কাজ করছি।”
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স সম্পন্ন রোবট চরম পরিস্থিতিতে অগ্নিকান্ডের ভিতরে প্রবেশ করে আগুন নিভাতে সক্ষম। আগুনের উপর কার্বন-ডাই আক্সাইড নিক্ষেপ করতে পারে সয়ংক্রিয় ভাবে। আগুন নেভাতে স্প্রে করতে পারে পানি। রোবটে উপস্থিত শারমান ক্যামেরার মাধ্যমে ভিতরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সহ ভিতরে সাহায্যের অভাবে আটকে পরা মানুষ চিহ্নিত করবে। এমনই একটি অগ্নি নির্বাপক রোভার তৈরী করেছেন স্বাধীন। তার রোভারটির নিয়ে দর্শনার্থীকে জানান দিতে এই তরুণ উদ্ভাবক কাটাচ্ছেন দিনের সেরা সময়।