বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবলেম সলভিং (সমস্যা সমাধান) ও গবেষণা দক্ষতা বিকাশের চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্যামসাং আরঅ্যান্ডডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এসআরবিডি) তৃতীয়বারের মতো সফলভাবে কোডিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বাংলাদেশের খ্যাতনামা ৬৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৬০৮ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী / প্রবলেম সলভার এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
প্রতিযোগিতাটি তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ড অনলাইনে চলতি বছরের ১৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে ১ হাজার ৬০৮ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। প্রথম রাউন্ড শেষে ৩৪৮ জন শিক্ষার্থী/ প্রবলেম সলভার দ্বিতীয় রাউন্ডের যাওয়ার সুযোগ পান, যা গত ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় রাউন্ডের সেরা ৫০ জন প্রতিযোগীকে চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত রাউন্ড আজ (২৯ সেপ্টেম্বর) এসআরবিডি এর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত রাউন্ডে ১০ জন সেরা প্রতিযোগীকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন বুয়েটের মোঃ সাব্বির রহমান। প্রতিযোগিতায় সেরার প্রাইজমানি হিসেবে তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা।
প্রথম রানার আপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অয়ন শাহরিয়ার। তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় রানার্স-আপ বুয়েটের ইফতেখার হাকিম কাওসার পেয়েছেন ২০ হাজার টাকা।
এছাড়াও প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ১০ এ রয়েছেন যথাক্রমে মোঃ মেহরাব হোসেন অপি, ফাহিম শাহরিয়ার শাকখোর, শরীফ মিনহাজুল ইসলাম, আশরাফুল হক তানি, তাশরীফ আহমদ, ফাহিম তাজওয়ার সৈকত এবং নাঈমুল ইসলাম সোয়াদ।
এই ১০ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার হিসেবে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় এসআরবিডি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর উনমো কু, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ধরনের প্রতিযোগিতা সফলভাবে আয়োজনের জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানে উনমো কু বলেন, “বাংলাদেশি তরুণ প্রকৌশলী ও প্রবলেম সলভারদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, যদি তারা তাদের দক্ষতা চর্চার জন্য এসআরবিডি’র মতো ইনস্টিটিউটগুলোর সঠিক পথনির্দেশনা পেয়ে থাকে তাহলে তারা বৈশ্বিক পরিসরেও তাদের মেধার নৈপুণ্য দেখাতে পারবে।”
রাসেল টি আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, “সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে অনেক মেধাবী বেরিয়ে আসবে, যা সর্বোপরি বাংলাদেশকে ফোরআইআর এর লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।”
আর প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “বাংলাদেশে প্রবলেম সলভিং কালচার (সমস্যা সমাধানের সংস্কৃতি) তৈরিতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তাদের মধ্যে এসআরবিডি অন্যতম। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পের যাত্রা ও এসআরবিডি’র উদ্বোধন একইসময়ে অর্থাৎ ২০১০ সালে হয়। আজ এসআরবিডি দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ উদ্ভাবনী ইনস্টিটিউট ও মেধা বিকাশের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এসআরবিডি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের বিকাশের চলমান প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখবে বলে আমি প্রত্যাশা করি; যেনো তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নিজেদের বিকশিত করে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।”