দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য নিয়ে প্রতারণা রোধে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদক, আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি খসড়া গাইডলাইন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশি-বিদেশি কোম্পানির ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদক, আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশনা দেন তিনি। অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এসময় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদক, আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সফিকুজ্জামান বলেন, ক্রেতারা এখন ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনে বেশি প্রতারিত হচ্ছেন। বিশেষ করে নকল পণ্য, মোড়কে অতিরিক্ত মূল্য লেখা, আগের দাম বাড়িয়ে দিয়ে মূল্যছাড় দেওয়া, অফারের সময়সীমা না থাকা, ওয়ারেন্টি ও ক্রয় পরবর্তি সেবা (আফটার সেলস সার্ভিস) না পাওয়া এবং ছোট করে শর্ত প্রযোজ্য দিয়ে বিভিন্ন সুবিধা কোম্পানির পক্ষে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। সেগুলো আমাদের নজরে এসেছে।
তিনি বলেন, এখন আমাদের এসব রোধ করার জন্য একটা উপায় বের করতে হবে। সেজন্য গাইডলাইন প্রয়োজন। তাই আগে আপনারা একটি খসড়া গাইডলাইন করুন। সেটা আমাদের দিন। সে খসড়া পেলে এরপর সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য অংশীজন ও সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানদের নিয়ে আমরা বসবো। এরপর সবাই মিলে সেটা চূড়ান্ত করবো।
মহাপরিচালক আরো বলেন, গাইডলাইন হলে সবাই একই লাইনে চলতে পারবে। তাতে ভোক্তারাও প্রতিকার পাবে। আপনারাও বুঝতে পারবেন অফার, মূল্যছাড়ের মতো সেবাগুলো কীভাবে দেবেন। তাতে ভোক্তারা সঠিক সুবিধা পাবে। আপনাদেরও ইমেজ সংকট থাকবে না।
এসময় খসড়া গাইডলাইনের জন্য বাটারফ্লাই ও ওয়ালটনের দুজন প্রতিনিধিকে কো-হোস্ট হিসেবে নির্ধারণ করেন কোম্পানিগুলো। এছাড়া খসড়া তৈরির জন্য প্রতিটি কোম্পানির একজন করে প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য বলা হয় সভায়। প্রতিনিধিরা আগামী ২ অক্টোবর খসড়াটি জমা দেবেন বলে জানান।
এদিকে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, যেহেতু ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিশ্ব বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগী সে কারণে সরকার এমন পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। তবে দাম সামঞ্জস্যের মধ্যে রয়েছে কি না সেটা দেখবে।
বাজারে নকল ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিষয়ে তথ্য চেয়ে তিনি বলেন, কোনো ব্র্যান্ড বা পণ্যের নকল হলে আমাদের তথ্য দিন। এটি খুব বিপজ্জনক। এসব নকল পণ্যের জন্য ক্রেতারা প্রতারণা স্বীকার হন। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের মতো বড় বড় দুর্ঘটনাও ঘটে এজন্য। এর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধে নেমেছি।