ডাটা হ্যাকাথনের দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে- টিম ইন্সটিঙ্কট। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে নাম্পি এবং তৃতীয় হয়েছে ভাইকিং রেইডার্স। প্রাইজ মানি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে দুই লাখ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দল পেয়েছে দেড় লাখ এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী দল পেয়েছে ১ লাখ টাকা।
ডাটাথনের দ্বিতীয় সংস্করণে সেরা ডাটা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নুরেন শামস ও ইয়ামিনুর রহমান এবং সেরা ডাটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে আবদুল বাসিত ও পার্থ ঘোষ প্রত্যেকে পেয়েছেন ১ লাখ টাকা পুরস্কার।
দেশের ডাটা সায়েন্টিস্ট ও ডাটা ইঞ্জিনিয়ারদের মেধার স্বীকৃতি প্রদানের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ডাটাথনের দ্বিতীয় সংস্করণের সমাপনী অনুষ্ঠান বুধবার (১৭ অগাস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম।
সমাপনী অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও পিটার প্যান জুনফেং ও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রবি’র অ্যাক্টিং সিইও অ্যান্ড চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এম. রিয়াজ রশীদ বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা যে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলছি এর জন্য প্রয়োজন হবে দক্ষ ডাটা সায়েন্টিস্ট ও ডাটা ইঞ্জিনিয়ারের। ডাটাথনের দ্বিতীয় সংস্করণ আয়োজনের মাধ্যমে শীর্ষ ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে এই দিকটির ওপর আলোকপাত করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের বিশ্বাস ডাটাথনের দ্বিতীয় সংস্করণ দেশের ডাটা সায়েন্টিস্ট ও ডাটা ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। আয়োজনটি সফল করে তোলার জন্য অংশগ্রহণকারী, পার্টনার প্রতিষ্ঠান এবং বিচারকদের ধন্যবাদ।”
প্রসঙ্গত, ডাটাথনের দ্বিতীয় সংস্করণে ১১টি দেশ থেকে ২ হাজার ৮শ’র বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তীব্র প্রতিযোগীতার পর ২৫টি দলে ভাগ হয়ে ১শ’ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। এরপর দুই দিনব্যাপী হ্যাকাথনে কঠোর প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয় নির্ধারিত ২৫টি দল।
ডাটাথনের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডাটা সায়েন্টিস্ট এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পেশাজীবীরা। উনাদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক পল মরিসে, গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর, এআই/বিডিএ টিএম ফোরাম; মো. আনোয়ারুল আরিফ খান, রেজাল্টস ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট, অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই); রামানা জামপালা, প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিইও অ্যাভলিনো; হুয়াং ওয়েমিং, হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড সল্যুশন সেলস, ক্লাউড ডিপার্টমেন্ট, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং মোহাম্মদ আরিফ, ডাটা সায়েন্টিস্ট, কগনিজেন্ট।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘ডাটা সায়েন্স ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্যানেল ডিসকাশনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) প্রফেসর ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের প্রেসিডেন্ট রাসেল টি. আহমেদ এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার রুহুল আমিন প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন।
প্যানেল ডিসকাশনটি সঞ্চালনা করেন রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম।