কৃষককে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি সেবা দেয়ার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য, কেনাকাটা ও ভ্রমণ সুবিধা দিতে এবার বিশেষায়িত ‘কৃষি প্রিভিলাইজ কার্ড’ সেবা চালু করলো দেশের প্রথম প্রযুক্তিনির্ভর ক্রাউডফন্ডিং বিশিষ্ট কৃষি ফিনটেক উদ্যোগ ই-পল্লী। এই কার্ডের মাধ্যমে একজন কৃষক স্থানীয় হাসপাতালে ছাড়াও ঢাকার ইবনে সিনা ও শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ, নিজস্ব এলাকা থেকে যাতায়াত এবং সার-বা প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ কেনার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাবেন।
শনিবার রাতে রাজধানীর একটি রেঁস্তোরায় মানিকগঞ্জের কৃষক মোঃ দুলাল মিয়ার হাতে ‘ই-পল্লী প্রিভিলেজ কার্ড’ তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির সিএফও মোহাম্মাদ আলী।
প্রান্তিক কৃষকের হাতে তুলে দেয়ার এই অনুষ্ঠানে ই-পল্লী সহপ্রতিষ্ঠাতা জুনায়েদ আহমেদ ও এস এম আব্দুস সালাম মামুন, ই-ক্যাবের রুরাল ই-কমার্স চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল, ই-ক্যাবে প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মীর শাহেদ আলী, বিআইজেএফ সহ-সভাপতি নাজনীন নাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্রাউড সোর্সিং এর মাধ্যমে পশু পালন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ১৩ বিনিয়োগকারীর হাতে লভ্যাংশসহ বিনিয়োগের চেক তুলে দেয়া হয়। পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় জৈব চাষাবাদে উৎপাদিত নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে বাজারজাত করতে শুরু করা চাউল, তেল ও ঘি। অনুষ্ঠানে মোবাইল অ্যাপ কিংবা অনলাইনে এই পণ্যগুলো বিক্রি শুরু করারও ঘোষণা দেয় ই-পল্লী কর্তৃপক্ষ। পল্লীফুড ব্র্যান্ডে বিশেষায়িত ৩টি পণ্যও উপহার দেয়া হয় বিনিয়োগকারী, কৃষক এবং অভ্যাগত অতিথিদের মধ্যে।
অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা জানান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনার সমন্বয়ে কৃষকের ক্ষমতায়ন ও সাধারণ মানুষকে কৃষিতে সংযুক্ত করতে সিরাজগঞ্জ ও সাভারে পরীক্ষামূলক বিনিয়োগ- চাষাবাদ-বিপনন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে ই-পল্লী। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কৃষক পরিবারের সদস্যদেরকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে শিগগিরি তারা কেরাণীগ্রঞ্জে প্রকল্প সম্প্রসারণ করবেন। প্রকল্পের অর্ধীনে কৃষকদের আইওটি এবং ক্লাউডবেজড কৃষিতথ্য সেবা দেয়া হচ্ছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ই-পল্লী‘র করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক নূরুল ইসলাম, কৌশলগত উদ্যোগের পরিচালক কানিজ ফাতিমা, অর্থনৈতিক অন্তর্ভূক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা আবু বক্কর সিদ্দিকী, সরবরাহ চেইন উপদেষ্টা আব্দুর রহমান।