প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে আসায় বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের পাঁচটি বিশেষ কার্যক্রম উদ্বোধন সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেছেন, পুলিশ তাহলে আরো জনবান্ধব হবে এবং পুলিশের সেবাটা আরো বেশি করে জনগণ পাবে। এ সময় করোনা মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোয় পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে এ কাজে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও সমানতালে এগিয়ে এসেছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ব্লেন্ডেড পদ্ধতির এই অনুষ্ঠানে নবস্থাপিত ‘পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা ও পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানা উদ্বোধন। বাংলাদেশ পুলিশ কতৃর্ক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর। নবনির্মিত ১২টি পুলিশ হাসপাতাল উদ্বোধন। বাংলাদেশ পৃলিশের ৬টি নারী ব্যারাক উদ্বোধন এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রম উদ্বোধন। প্রকল্পগুলোর ওপর একটি ভিডিও চিত্রও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, অপরাধের ধরন পাল্টাচ্ছে, কেননা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সহায়তার নিয়েও এখন সন্ত্রাসি ও জঙ্গিবাদি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কাজেই এর সাথে মোকাবিলা করে আমাদের পুলিশ বাহিনীও যেন চলতে পারে এবং তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে, তাঁর সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে। আর সরকার এখন অনলাইনে জিডি’র ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইসের সাহায্যে অনলাইনে পুলিশ সেবার বন্দোবস্তোও করেছে। কাজেই ঘরে বসেই জনগণ এই সেবা পাবেন এবং তাদের অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ পুলিশের এই অনুষ্ঠানে গণভবনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পদ্মা সেতু উত্তর থানা, মুন্সীগঞ্জ, মহিলা পুলিশ বরাক প্রান্ত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি), খুলনা, ময়মনসিংহ পুলিশ হাসপাতাল এবং পিরোজপুর জেলার পুলিশ লাইন প্রান্ত যুক্ত ছিল।