বুধবার (১৫) থেকে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রম। সপ্তাহব্যাপী এ কার্যক্রম আগামী ২১ জুন শেষ হবে। নানা কারণে এবারের জনশুমারি ‘বিশেষ’ হয়ে উঠেছে। এই প্রথম বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি হচ্ছে। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন ট্যাব। তাৎক্ষণিক ডেটা সংরক্ষণে মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং নিজেদের সফটওয়্যার। কেউ যেন বাদ না পড়ে বা তথ্যবিভ্রাট পরিহারে চালু করা হচ্ছে হটলাইন।
এছাড়াও ১০ বছরের ব্যবধানে করা আগের পাঁচটি আদমশুমারির সময় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ হয়েছিল খাতা-কলমে। আরেকটা বিশেষ বিষয় হলো; এবারই প্রথম বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশিদেরকেও এই জনশুমারির আওতায় আনা হবে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্যও সংগ্রহ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
জনশুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হতে হবে একটি ওয়েবভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা অধিকতর ফলপ্রসূ ও সফল করতে সোমবার (১৩ জুন) বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে তারা। এতে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সরকারের সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ বছর পরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। এই জনশুমারি ও গৃহগণনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—জনসংখ্যা ও দেশের বাসগৃহের সংখ্যা নিরূপণ এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ। সহজ ও সুনির্দিষ্টভাবে শুমারির গণনা এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং কোনো খানা গণনা থেকে বাদ না পড়া বা একাধিকবার গণনা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও জিও কোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।