অচিরেই বাংলাদেশ বিশ্বে উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ইতোসধ্যেই এটুআই এর ইনোভেশন ল্যাবে নেবুলাইজার, অ্যাম্বুলেন্স, রেফ্রিজারেটরের নতুন নতুন মডেলসহ বেশ কিছু বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময় পণ্য বাজারে এনেছে জানিয়ে আগামী দিনে বাংলাদেশে হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার খাতে একটি ইনোভেশন ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলতে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো সেতুবন্ধন রচনা করবে।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল এই সম্মেলন ও মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই আইটি ও আইটিইএস থেকে বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করছে। ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করবে সরকার।
এই সম্মেলনে অংশীজনদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রি উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অনুশাসন জারি করেছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে ৯৪টি খুচরা যন্ত্রাংশের ওপর আমদানী শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করা ফলে এখন দেশে তৈরি মোবাইল-টিভি-ফ্রিজের স্থানীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। দেশের চাহিদার ৭০ শতাংশ মোবাইল ফোন তৈরি হচ্ছে দেশেই।
প্রযুক্তি বিষয়ে দেশের তরুণদের সংশ্লিষ্ট করতে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে সরকার দেশের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করছে জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, হার্ডওয়্যার শিল্পের বিকাশের জন্য আমরা মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইনিং স্ট্রাটেজি প্রণয়ন করেছি। রোবটিকস, এআই, ইন্টারনেট অব থিংকস এবং ব্লক চেইন স্ট্রাটেজি প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলো প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করেছেন। এছাড়াও হাই-টেক শিল্পকে আরো প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউএলএসআই ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।