২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে আইসিটি খাতে ১৫ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে। এই বাজেট তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)। আজ (২৩ জুন) সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের অডিটোরিয়ামে ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রস্তারিত বাজেট : তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক আলোচনার সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিআইজেএফ এর সভাপতি মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান জাকির।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বিআইজেএফ এর সহসভাপতি নাজনীন নাহার, সহ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, কোষাধ্যক্ষ এনামুল করিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম রাহাদ এবং নির্বাহী সদস্য রাহিতুল ইসলাম রুয়েল। সিনিয়র সদস্য, পল্লব মোহাইমেন, আব্দুল হক অনু এবং আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
সভায় বিআইজেএফ এর সাধারণ সম্পাদক হাসান জাকির বলেন, দেশের ৭০ ভাগ তরুণ ৩৫ বছরের নিচে। এই তরুণ প্রজম্মকে কাজে লাগিয়ে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করা সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আইসিটির ৪টি বিষয়কে অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসেবে ধরা হয়েছে, ই-গভর্নেন্স, ই-শিক্ষা, ই-বানিজ্য এবং ই-সেবা।
তিনি বলেন, বাজাটে স্মার্টফোন আমদানীতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়ে। লোকাল ইন্ড্রাস্টিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে বিদেশ থেকে ফোন আমদানী শুল্ক বাড়ানো যুক্তিযুক্ত নয়। অবশ্যই লোকাল ইন্ড্রাস্টিকে আমাদের প্রমোট করতে হবে। তবে এখনিই লোকাল ইন্ড্রাস্টির পক্ষে আমাদের স্মার্টফোনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। ফোনে আমদানী শুল্ক বাড়লে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এবারের বাজেটে স্টার্টআপের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে তরুণ প্রজম্মকে উদ্যোক্তা হওয়ার মনোভাব তৈরি করতে হবে। এই অর্থ যথাযথভাবে কাজে লাগানো হোক।
হাসান জাকির আরো বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা চায় বিআইজেএফ। প্রত্যেকটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকা প্রয়োজন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে এই বাজেট দিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব হবে।
সভায় আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এবারের বাজেটে ই-কমার্সে ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। আমরা মনে করি এই সেক্টর থেকে ভ্যাট আরোপ করার এখনো সময় হয়নি। কমপক্ষে আগামী ৫ বছর এই সেক্টরকে ভ্যাটের আওতার বাহিরে রাখতে হবে। ই-কমার্সে ছোট ছোট উদ্যোক্তা। তাদের উপর এই ভ্যাট যুক্ত হলে হুমকির মুখে পড়বে ই-কমার্স।
সভায় আব্দুল হক অনু বলেন, তথ্যমন্ত্রনায় এবং অন্য মন্ত্রনালয় যুক্ত হয়ে অনেক প্রজেক্ট করা ফলে একটি সম্বনয়হীনতার অভাব লক্ষ্য করা গেছে। ই-কমার্সে ভ্যাট এই মূহুর্তের জন্য ভালো সঙ্কেত না। সরকার ই-কমার্সে ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না। আমরা আগে দেখতাম বিজ্ঞান মন্ত্রনালয় স্কুল গুলোতে নানা অনুষ্ঠান করতো। এখন এই বিষয়ে তেমন প্রচারণা চোখে পড়ে না। এখানে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।
পল্লব মোহাইমেন সভায় বলেন, স্মার্টফোন আমদানীতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এটা কমানো উচিত। কারণ এখন সবাই সব ধরনের কাজ স্মার্টফোনের মাধ্যমে করে থাকে। আইসিটি সেক্টরে যে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে রবাদ্দের রিটার্ন কি? বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কি অবদান রাখছে? এই বিষয় গুলো আমাদের নজর রাখা দরকার। একটি অ্যাপই উদ্ভাবন নয়। উদ্ভাবন মানেই নতুন কিছু। আইসিটি সেক্টরে উদ্ভাবন এবং কাজের নামে জনগণের টাকা লুটপাট হচ্ছে।