ঈদকে কেন্দ্র করে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন শহরের মানুষ। এত মানুষ একসাথে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যাওয়াতে পরিবহন সংকট দেখে দেয়। অনেকেই টিকিট না পেয়ে বেশি দাম দিয়ে টিকিট কিনছেন কালোবাজারি থেকে, একটু শান্তিতে যাওয়ার জন্য বেশি দাম দিয়ে টিকিট কেনা। অনেকে আবার টিকেট পাচ্ছেন না। যারা টিকিট পাচ্ছেন না তাদের জন্য সামাজিক যোগােযোগ মাধ্যমে অনেকে টিকিট বিক্রি করছেন। তবে অনেকেই এই সামাজিক যোগাযােগ মাধ্যম ব্যবহার করে টিকিট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।
প্রায় অর্ধশতাধিক ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ খোলা হয়েছে বিভিন্ন যানবাহনের টিকিট কেনাবেচা জন্য। এর মধ্যে অনলাইন ট্রেন টিকেট, বিডি বাস এন্ড ট্রেন-বাই এন্ড সেল, ট্রেন টিকিট বায়িং এন্ড সেলিং বাংলাদেশ, টিকিট বায়িং অ্যান্ড সেলিং ইন বাংলাদেশসহ আরও অনেক বড় বড় গ্রুপে টিকিট কেনাবেচা হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন জেলা, বিভাগসহ এলাকাভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ, সেগুলোতেও কেনাবেচা হয় ঈদের আগে ট্রেন, বাস, লঞ্চের টিকিট।
ঈদকে সামনে রেখে প্রতারক চক্ররা সক্রিয় হয়েছে ফেসবুকের বিভিন্ন পেইজ, গ্রুপে। এদের বেশিভাগই ফেসবুকের নকল অ্যাকাউন্ট খুলে এমন প্রতারণা করছে।
ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে টিকেট কিনেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আলামিন, যাবেন চট্টগ্রাম। ৩১ মে রাতে যাওয়ার কথা, রাত ১২ টায় গাড়ি। যথারীতি সে পৌঁছে যান বাস কাউন্টারে, গাড়িতে উঠে সিটে বসে আছেন। একটু পর বাস ছাড়বে। এমন সময় একজন এসে হাজির, তাকে অনুরোধ করেন সিটটা ছেড়ে দিতে। দুই জনই সিট দাবি করলে টিকিট চেক করেন গাড়ির সুপারভাইজার। সুপারভাইজার জানান, আলামিনের যে টিকিট সেটি আসল নয় নকল।
আলামিন জানান, ফেসবুকে একটি গ্রুপে একজন টিকিট বিক্রি করবে বলে পোস্ট দেন, বিকাশে টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে টিকিটটা কিনেছি। তিনি টিকিটটি আমাকে ইনবক্সে দেন।
অনেকে ই-টিকিট ফেসবুক পোস্ট করেন, পরে দেখা গেছে কেউ একজন এর আগেই টিকিটটা প্রিন্ট করে ফেলেছে। এইভাবে অনেকেই ফেসবুকসহ অনেক সামাজিক মাধ্যমে টিকিট কিনে প্রতারিত হচ্ছে।
অনেক ফেসবুক গ্রুপের এডমিন এই ব্যাপারে পোস্ট করে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন।
ডিবিটেক/এসিডি