দুটি দেশীয় কোম্পানি ওয়াল্টন এবং সিম্ফোনি ছাড়াও চীনের তিনটি কোম্পানি ট্রানশেন হোল্ডিং, ভিভো এবং অপ্পো আর কোনো স্মার্টফোন আমদানি করে না। বরং যন্ত্রাংশ আমদানি করেই দেশের বাজারে তাদের চাহিদা মেটাচ্ছে। দেশের ভেতরে স্মার্টফোন সংযোজন কারখানা স্থাপনের তালিকায় গত বছরের ২১ অক্টোবর সর্বশেষ যুক্ত হয় শাওমি। চীনা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে গাজীপুরো কারখানা করে অপো।
একই বছরের একই সময় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মোবাইল উত্পাদন কার্যক্রম শুরুর কথা জানায় ভিভো কর্তৃপক্ষ। এদিকে প্রযুক্তি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ মার্কেট পালস এর জুনের প্রতিবেদন বলছে চীনা ব্রান্ডের স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষ স্থানে করে নিয়েছে ব্র্যান্ডটি। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলোকে পেছনে ফেলে শীর্ষে অবস্থান করছে ভিভো। এরইমধ্যে ৫০টিরও বেশি দেশে ৪০ কোটি বেশি ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে গেছে ভিভো। বাজারে ব্র্যান্ডটির মার্কেট শেয়ার ১৯.৮ শতাংশ।
অপরদিকে প্রতিবেদনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অনর ব্র্যান্ডের মার্কেট শেয়ার ১৮.৩ শতাংশ। অপো’র বাজার হিস্যা ১৭.৯ শতাংশ। বাজারে এর পরেই রয়েছে অ্যাপলের শেয়ার। মার্কিন এই ব্র্যান্ডের বাজার অংশ ১৫.৫ শতাংশ। পরের ধাপেই ১৪.৯ শতাংশ বাজার শেয়ার নিয়ে রয়েছে চীনা ব্র্যান্ড শাওমি, ৬.৯ শতাংশ নিয়ে হুয়াওয়ে এবং ২.৪ শতাংশ নিয়ে রিয়েলমি।
ভিভো বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের দাবি, গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জন করায় বিশেষ করে তরুণ গ্রাহকের সুলভ মূল্যে ফোন দেওয়ার কারণে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে ভিভো। নিজেদের উদ্ভাবনী কৌশলের কারণে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে তরুণদের মন জয় করেছে ভিভো।
উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তির সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ভিভো তার চলমান গতি বজায় রেখেছে এবং গ্রাহকদের ভালোবাসা অর্জন করেছে। এক্স, ভি ও ওয়াই সিরিজের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে ভিভো।
শক্তিশালী ব্যাটারি, অত্যাধুনিক ক্যামেরা, প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভিভো এক্স সিরিজ স্মার্টফোনগুলো। বিশ্বখ্যাত লেন্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেইসের সাথে পার্টনারশিপ করে ফটোগ্রাফির জগতে দারুণ পরিবর্তন এনেছে ভিভো। প্রযুক্তির দুর্দান্ত ব্যবহারে জনপ্রিয় স্মার্টফোনের তালিকায় রয়েছে ভিভোর ভি সিরিজ। আর বাজেট ফোনে তরুণদের আগ্রহের অন্যতম জায়গা ভিভোর ওয়াই সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ডজনখানেক মুঠোফোন সংযোজন কারখানা গড়ে উঠেছে। দেশে প্রথম মুঠোফোন কারখানা করে ওয়ালটন। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের কারখানার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ২০১৮ সালের মাঝামাঝি। একই বছরের জুনে স্যামসাং ব্র্যান্ডের মুঠোফোন সংযোজন শুরু করে ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড। তার তিন মাস পর সিম্ফনি ব্র্যান্ডের মুঠোফোন বাজারজাতকারী এডিসন গ্রুপের কারখানার উদ্বোধন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কারখানা করেছে ভিভো, অপো, রিয়েলমি, টেকনো, আইটেল, ইনফিনিক্স, ফাইভস্টার, নকিয়া ও শাওমি।