২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোনের আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন বাজেটে। বিদায়ী অর্থবছরে এই শুল্ক হার ছিলো ১০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোনের আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ এবং ফিচার ফোনের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশে স্থিতিশীল রাখার প্রস্তাব করা হয়।
সমাজের বিত্তবান লোকজন ব্যবহার করে স্মার্টফোন এবং ফিচার ফোন নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠি ব্যবহার করে যুক্তি টেনে এই প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এছাড়াও আইসিটি খাতের অন্যতম অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধার কারণে দেশে এর ৫-৬টি কারখানা স্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে এবারের বাজেটে সেই সুবিধা রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনে কিছু যংন্ত্রাংশ আমদানির শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়াও মোবাইল ফোনের চার্জার কানেকটর পিন ও সিম স্লট ইজেকটর পিনের শুল্ক ২৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে।এছাড়া ক্রিস্টাল ডায়োড ও ট্রানজিস্টরের শুল্ক ৫ শতাংশ হতে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে সর্বপ্রথম ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদনে এবং মোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানিতে ব্যাপক শুল্ক ছাড় দেয়া হয়।
এর ফলে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত ফোনের দাম বাড়বে এবং একইসঙ্গে দেশে উৎপাদিত মোবাইলফোনের দাম সামন্য কমবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) যুগ্ম সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন ডিজিবাংলা-কে বলেন, এবারের বাজেট মোবাইল খাতের জন্য দেশীয় শিল্পবান্ধব। আমদানিকৃত মোবাইলেও ওপর সিডি বাড়িয়ে দেয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে দেশীয় শিল্প লাভবান হবে। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনে আগ্রহী হবে। আর কিছু যংন্ত্রাংশ আমদানির শুল্ক কমানোর প্রস্তাব পাশ হলে স্বল্প মেয়াদেই গ্রাহকরা এর সুবিধা ভোগ করবে।