বাংলাদেশে তৈরি নোকিয়া মোবাইলের্ জি’ সিরিজের দুটি মডেল জি-১০ ও জি-২০ বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে এইচএমডি গ্লোবাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য ’বাংলাদেশে তৈরি’ নোকিয়া ফোনের যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়।
এইচএমডি গ্লোবাল-এর জেনারেল ম্যানেজার (প্যান এশিয়া) রাভি কুনওয়ার বলেন, ‘আজকে আমাদের জন্য স্বরনীয় একটি দিন। নি:সন্দেহে বিগত এক বছর ছিল আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং, তবে এ সময় আমাদের চিন্তাভাবনা করে প্রস্তুত হয়ে পরবর্তী বড় পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন ও সেখানে সংযোজিত হ্যান্ডসেট-এর উন্মোচন আমাদের যাত্রার একটি মাইলফলক’।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সেট দুটি বাংলাদেশে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি-র একটি কারখানায় তৈরি করা । যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার ও ইউনিয়ন গ্রুপ বাংলাদেশ-এর সমন্বয়ে গঠিত ‘ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার (বাংলাদেশ) লিমিটেড’, বিশ্বখ্যাত নোকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বাংলাদেশে তৈরির জন্য প্রথম কারখানাটি স্থাপন করেছে। শুরুতে কারখানায় প্রতিদিন ৩০০ ফোন সংযোজন করা হবে। ২টি মোড়কজাতকরণ ও ৪ টি সংযোজনসহ মোট ৬ টি প্রোডাকশন লাইন আছে কারখানাটিতে। নিজস্ব পরীক্ষাগার সম্বলিত কারখানাটি প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামোতে স্বয়ংস্বম্পূর্ন এবং কারখানাটিতে প্রায় ২০০ জন কর্মী রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে তৈরি করা নোকিয়া স্মার্টফোন আমদানিকৃত ফোনের তুলনায় ৩০শতাংশ কম দামে পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন গ্রুপের ডিরেক্টর আলভী রানা বলেন, ’নোকিয়ার মতো গ্লোবাল একটি ব্র্যান্ডের অংশীদার হওয়া আমাদের জন্য খুবই সম্মানজনক। এইচ এমডি গ্লোবালের নির্দেশনায় ইউরোপীয় মানে আমরা কারখানা স্থাপন করেছি। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে তৈরি হ্যান্ডসেট ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে পাবে এবং এদেশের স্মার্টফোন মার্কেটে নোকিয়ার মার্কেট শেয়ার বাড়াতে সাহায্য করবে।’