সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সাইবার ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ । পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার রাতে ‘টেকসই উন্নয়নে সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়ক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক সূচকে এগিয়ে থাকলেও আমরা আত্মতৃপ্তি নিয়ে বসে থাকছি না। সক্ষমতা বাড়াতে একদিকে যেমন পলিসি ও স্ট্রাটেজি প্রণয়ন করছি, অপরদিকে প্রাক্টিস ও কালচার তৈরি করে একটা সাইবার লিটারেট সোসাইটি গড়ে তোলার জন্য আমাদের এড্যুকেশন, ট্রেনিং, স্কিলসেট ইনহেন্সমেন্ট প্রোগ্রাম, লিগ্যাল অ্যান্ড রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক এবং স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর একত্রিত করে সবগুলো উপাদানকে শক্তিশালী করে একটি ইকোসিস্টেম আমরা গড়ে তুলতে চাই।
এস্তোনিয়া, ইউক্রেন ও ইরানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল আক্রমণে একটি দেশকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা যায়। তাই এর ব্যবহারকারীদেরকেই আগে সচেতন করতে হবে। সাইবার নিরাত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপাস্থান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইইসি বিভাগের অধ্যাপক মামুন রশিদ। উপস্থাপনায় অনলাইন সেবার ঝুঁকিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার পরামর্শ দিয়ে সমষ্টিগত ভাবে সচেতনতা প্রোগ্রাম করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সতর্ক করেন মোবাইলফোনে ছবি তোলার সময় লোকেশন বিষয়ক তথ্য প্রকাশ নায় হয়ে সে বিষয়ক অনুমতি বন্ধ রাখার ওপর। একইসঙ্গে অনলাইন শিক্ষায় দেশে ‘এ্যডুরম’ এর মতো নিজস্ব ‘সেইফ সাইবার রোমিং’ টুলস তৈরিতে আইসিটি বিভাগকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান অধ্যাপক মামুন রশিদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিসিএ নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ চৌধুরী।
ডিজিটাল নিরপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মোঃ খায়রুল আমীনের সভাপতিত্বের ওয়েবিনারে আলোচনা করেন দৈনিক সমকাল সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোল্যা নজরুল ইসলাম, এটুআই সিটিও আরফে এলাহি এবং সাইবার নিরাপত্তাকর্মী ও সামাজিক সংগঠক সাদাত রহমান।
এছাড়াও সংযুক্ত ছিলেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি এর পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ ও বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।