চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়ার দুই মাস পর নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের তথ্য খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর গভর্নর হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগ দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সূত্রমতে, নগদের বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছেও এ–সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অবশ্য ওই দিন সন্ধ্যায় দেশের স্টার্টআপ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে ১১২ কোটি টাকার বিদেশী বিনিয়োগ ঢুকেছে। এমন প্রতিষ্ঠান নগদে বিনিয়োগ করেছে যাদের বিনিয়োগ ফেসবুকেও (মেটা) আছে। তাছাড়া ভারতের পেটিএম-এর একটি সিস্টার কানসার্নসহ বিশ্বের নামকরা কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করেছ। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অডিম ফার্ম ডেলয়েট নগদের দৈনিক লেনদেন অডিট করে থাকে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির উদ্যোক্তা শেয়ারধারীদের তথ্য যাচাই করা প্রয়োজন। এ জন্য পাঁচটি বিদেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের নাম যুক্ত করে তাদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিষ্ঠান পাঁচটি হলো ব্লু হেভেন ভেঞ্চারস এলএলসি, অসিরিস ক্যাপিটাল পার্টনারস এলএলসি, জেন ফিনটেক এলএলসি, ফিনক্লুশন ভেঞ্চারস পিটিই লিমিটেড এবং ট্রপে টেকনোলজিস এলএলসি। চিঠিতে এই পাঁচটি বিদেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনপত্র যুক্ত করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্যাদি যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সংগ্রহ করে জমা দিতে বলা হয়।
চিঠিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন ও ঠিকানা বা অবস্থান, গঠনকালীন মালিকানা কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, বর্তমান মালিকানা ও মালিকদের নাগরিকত্ব, বিগত তিন বছরের কর পরবর্তী প্রকৃত মুনাফা ও প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ এবং হোল্ডিং কোম্পানির ক্ষেত্রে সহযোগী কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।