বিদেশি কার্ড প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরতা কমানো এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমেই ডুয়েল কারেন্সি (টাকা-রুপি) ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ নিয়ে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ৮টি ব্যাংক নিয়ে পাইলটিং কার্যক্রম করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এই কার্ড ব্যবহার হলে গ্রাহকের খরচ কমবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কার্ডের জন্য যেসব সেবা দেবে, তা সাশ্রয়ী হবে। তখন আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা হবে। এখন আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমগুলো যা নির্ধারণ করে দেয়, তা-ই মানতে হয়।প্রা থমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এ কার্ড চালু করবে, পরে টাকা-রুপি কার্ড চালু করা হবে।
এর আগে গত ২ জুন বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড চালুর ব্যাপারে কাজ চলছে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর ১৮ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছিলেন, এখনও কোনো ধরনের কারেন্সি সোয়াপে যায়নি বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে রুপি দিয়ে বাণিজ্য করার চেষ্টা চলছে। এখন কেউ ভারত যেতে চাইলে শুরুতে টাকাকে ডলারে রূপান্তর করতে হয়, পরে ভারতে গিয়ে আবার ডলারকে রুপিতে আনতে হয়। পরপর দুবার মুদ্রা ভাঙানোর ফলে মুদ্রার মান কমে যায়।
তাই ভারত ভ্রমণে মুদ্রা বিনিময়ের ঝামেলা কমাতে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের দিকে বাজারে বাংলাদেশে একটি ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে বলে জানান আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, এই কার্ড ব্যবহারে গ্রাহকরা মুদ্রা ভাঙানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন ভারতে। এতে ডলার খরচ অনেকাংশে বাঁচবে।