অনলাইন গেম বানানোর কথা বলে বাংলাদেশে মাত্র সোয়া কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমতি নেয় ভারতের মুনফ্রগ ল্যাবস কোম্পানি। পরে প্রতিনিধি (এজেন্ট) নিয়োগ দিয়ে গেম না বানিয়ে কৌশলে “তিন পাত্তি গোল্ড”সহ চারটি জুয়ার ওয়েবসাইট পরিচালনা করে তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় পৌনে ২০০ কোটি টাকা সরিয়েছে ওই গেমিং কোম্পানিটি। , অনলাইনে খেলা যায়, এমন গেম বানানোর কথা বলে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কাছ থেকে বিনিয়োগের অনুমতি নেয় মুন ফ্রগ ল্যাবস কোম্পানি। পরে উল্কা গেমস লিমিটেড নামে কোম্পানি খুলে অনলাইন জুয়া “তিন পাত্তি গোল্ড”, “কেকে পাত্তি”, “তাস পাত্তি” ও “তিন পাত্তি এইচ প্রো” চালু করে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদিত হওয়ায় বৈধভাবেই বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা সরিয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অর্থ নিয়েছে ভারতের ওই প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) অনুসন্ধানে অপরাধের এ তথ্য উঠে আসে।
সেই সূত্র ধরে রোববার রাজধানীর মহাখালী ও উত্তরায় অভিযান চালিয়ে এর মূল হোতা ও উল্কা গেমস লিমিটেডের সিইও জামিলুর রশিদসহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে অনলাইনে জুয়া চালানোর অভিযোগে বেনজির হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বেনজিরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিলো।