চার অভিযোগে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট এবং কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এই তথ্য দিয়েছেন দুদক সচিব মাহবুব হাসান। এই ঘটনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পৃক্ত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ দুদকে পাঠানো হয়।ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে কমিশন। অনুসন্ধান শুরু হলে জানা যাবে এর সঙ্গে কে কে সম্পৃক্ত।
তিনি আরো জানিয়েছেন, সম্প্রতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক/কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক/কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক/কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।
এই চার অভিযোগ সংবলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কমিশন গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান দুদক সচিব।