কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে ডিভিশন না পেয়ে পাঁচ হাত লম্বা চার হাত চওড়া সেলে থাকতে হচ্ছে সাবেক তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। এমনকি গত দুই সপ্তাহ ধরে পরিবারের সঙ্গে কথাও বলতে পারছেন না তিনি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদের আদালতে এজলাসে দাঁড়িয়ে এই অভিযোগ করেন রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় রিয়াজুল তালুকদার হত্যা মামলার এই আসামী। আদলতে বিচারককে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে পাঁচ হাত লম্বা চার হাত চওড়া সেলে আমাকে রাখা হয়েছে। সেখানে ২১শ’ বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার কয়েদী। বাকিরা দুর্ধর্ষ খুনি, বিচ্ছিন্নতাবাদী, জঙ্গি ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এখানে আমাকে ডিভিশন দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করা ও কথা বলার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। গত দুই সপ্তাহ ধরে আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।
এরপর বিচারক পলককে আদালতে লিখিত আকারে আবেদন দাখিল করতে বলেন। পরে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি লিখিত আবেদন দেন।
এ বিষয়ে পলকের আইনজীবী ফারজানা আক্তার রাখী বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ওনাকে (পলক) ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর থেকে উনি ডিভিশন পাননি। আমরা গতকাল (১ ডিসেম্বর) আদালতে ডিভিশনের আবেদন করেছি। আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন। আজ সেটি কারাগারে যাবে।
গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
