আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আবারো পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রায়হান উদ্দিন খান আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় এ আদেশ দেন বিচারক।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ ডলার চুরি হয়। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সেই টাকা রক্ষিত ছিল। সেখান থেকে অন্তত ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ম্যানিলাভিত্তিক আরসিবিসির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এরপর যেখান থেকে ওই ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে ব্যয় হয়।
ওই ঘটনায় সে বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক (হিসাব ও বাজেট) জোবায়ের বিন হুদা মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। কয়েকজনকে আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় মামলাটি করেন তিনি। দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য সিআইডি আজ পর্যন্ত মোট ৭৪ বার সময় নিয়েছে।
চলতি বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে চুরি হওয়া ৬৬ মিলিয়ন ডলার উদ্ধারের জন্য মামলা করে। এছাড়াও চুরির ঘটনায় ম্যানিলায় আরও অনেকগুলো মামলা হয়েছিল। সেগুলোর কোন কোনটাতে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। ফিলিপিনের আরসিবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল, তাতেও বাংলাদেশ সাক্ষ্য দিয়েছে।