বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক অভিষেক হচ্ছে সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি সেবাপণ্য নির্মাতাদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস- বেসিস এর নব নির্বাচিত কার্য নির্বাহী কমিটির। এই কমিটির সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। আনুষ্ঠানিক অভিষেকের আগেই খোলামেলা কথা বলেছেন ডিজিাবংলা’র সঙ্গে। আলাপ করেছেন- নির্বাহী সম্পাদক ইমদাদুল হক-এর সঙ্গে।
আলাপকালে নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ‘এভরি মেম্বার ম্যাটার্স’ প্রতিশ্রুতি পূরণে দায়িত্ব নেয়ার আগেই বেশ কিছু কাজ এগিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন চ্যাম্পস ২১ রূপকল্প বাস্তবায়ক।
বলেছেন- ‘বেসিস’র সদস্যরা ভালোবাসা দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছে। সেই দায়িত্বটা দিয়েছে। সদিচ্ছা আর কমিন্টমেন্ট এনশিওর করেই আমরা আমাদের কাজটা শুরু করতে চাই। প্রথম মনোযোগ অবশ্যই এভরি মেম্বার ম্যাটার্স। নির্বাচনী স্লোগানটি শুধু মাত্র শ্লোগান নয়। এটা বুকে ধারণ করি। আমরা বিশ্বাস করি যে মেম্বার্স আর দ্য পাওয়ার অব বেসিস।’
এজন্য সদস্য হিসেবে ছোট-মাঝারি-বড় বলে কিছু নেই বলেই মনে করছেন টিম ক্রিয়েটিভ প্রধান নির্বাহী।
তিনি বলেছেন, ‘মেম্বার্সদের জন্য ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশ, তাদের প্রয়োরিটি, সমস্যা, সম্ভাবনা জানার জন্য আমরা শোনার আগ্রহ নিয়ে থাকবো। সে অনুযায়ী কাজ করবো। এ জন্য আমরা ইতোমধ্যেই আন অফিসিয়াল ভাবে কাজ শুরু করেছি। বেসিস এর প্রত্যেকটা সদস্য বব্যসায় সম্প্রসারণ করতে পারলেই ছোট-মাঝারি বড় প্রত্যেকেই ব্যবসায় প্রসার ঘটানোর সুযোগ পাবে। প্রতিটা মেম্বার বড় হলেই আসলে বেসিস বড় হবে। এবং আইসিটি শিল্প বড় হবে। সর্বোপরি এই শিল্পকে বড় করতে আমরা ১১ জনের বোর্ড সকল সদস্যকে সাথে নিয়ে কাজ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। ব্যবসায়ীদের সংগঠনকে ব্যবসায়ের জায়গায় রাখতে হবে। সেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন। মাঝারি ব্যবসায়ী আছেন। বেসিস বোর্ড একার কারো নয়। ছোটর জন্য না, বড়’র জন্য না। মাঝারির জন্য না। সবার জন্য।’
স্বপ্নপূরণে দুই বছর বড় সময় না হলেও, স্বচ্ছতা-জবাবদিহীতা নিশ্চিত করে বেসিস এর ইমেজ বাড়াতে বোর্ডে তার দলের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তা যথেষ্ট বলেই মনে করেন ক্লাসটিউনের রূপকার।
রাসেল টি আহমেদ বলেন, আমরা স্বাভাবিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এসেছি। কখনোই সব মেম্বার আমাদের ভোট করবেন না। ভোট করেননি। যারা করেছেন এবং যারা করেননি এই ভোট তাদের সবার। সকল বেসিস সদস্যের। ভেদাভেদ না করে আমরা নির্বাচনের সময় যেমনটা বলেছিলাম, সবাইকে সাথে নিয়ে এবং মেম্বারদে সাথে নিয়ে কাজ সম্পাদনের চেষ্টা থাকবে। বেসিস সদস্যরা সচিবালয়ে আসলে তাদেরকে যেনো সম্মানের সঙ্গে ট্রিট করা হয়, গ্রহণ করা হয়, কথা শোনা হয় সেই জায়গাটা আমরা দিবো। প্রতি ১০০ দিনের কার্যক্রম শেষে আমরা ভোটারদের মুখোমুখি হবো। দুই বছর খুব লম্বা সময় না। সদিচ্ছা থাকলে ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব।
দায়িত্ব গ্রহণের পরবর্তী ১০০ দিনের ৫ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময়সীমা পূণর্ব্যক্ত করেন বেসিস’র দুই মেয়াদের সহসভাপতি ও সাবেক এই মহাসচিব।
তার ভাষায়- ১০০ দিনে ৫টি কাজকে মূল জায়গায় নিয়ে এসে বেসিস সেক্রেটারিয়েটের জন্য সিইও হায়ার করা, প্রফেশনাল কল সেন্টার করা, ২০২২ এর মার্চের মধ্যে সফট এক্সপো করা, বেসিস বোর্ড-কে আরো বেশি কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় কমিটি গঠন করা এবং বেসিস এর সকল সদস্যের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং রিসার্স সেন্টার স্থাপন করা হবে।
একইসঙ্গে মেয়াদ শেষের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব ছাড়বেন জানিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে থাকার কথাও প্রকাশ করলেন বেসিস’র নতুন প্রেসিডেন্ট। জানিয়েছেন, সদেস্যের ভোটারমুখী করার পরিকল্পনার কথাও।
‘আমার মনে হয়েছে, বেসিসে’র সদস্যরা ভুলে গিয়েছিলো কীভাবে বেসিস এর কাছ থেকে চাইতে হয়। বেসিস এর সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ালেই খুব স্বাভাবিক ভাবেই দূরত্ব থাকবে না। কাগজের জটিলতা যেনো বেশি না করে সরকারি নীতিমালায় বা বেসিস এর সংবিধানে যে কাগজগুলো প্রয়োজন ততটুকু দিয়েই যেনো সদস্যরা চাঁদা দিয়ে ভোটার হতে পারেন, ইনশাল্লাহ দুই বছর পরের নির্বাচনে আমরা এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবো।
একান্ত সাক্ষাৎকারে সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় ‘টপ-টেন পলিসি’ হিসেবে ট্যাক্স হলিডের মেয়াদ বাড়ানো, আয়কর সার্টিফিকেট প্রাপ্তির দীর্ঘ সূত্রিতা কমানো এবং এক মাসের মধ্যে ১০ শতাংশ রফতানি প্রণোদনা পাওয়ার বিষয় নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি ২০২৪ সালের আগেই সফটওয়্যার সেবা পণ্য দিয়ে রফতানি সেবা খাত থেকে সরকারের ৫০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য পূরণের কথাও জানিয়েছেন ২০০৮-২০০৯ মেয়াদে আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকারী প্রযুক্তি খাতের এই ব্যাবসায়ী নেতা।
এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ২৮ ডিসেম্বর ২০২২-২৩ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে বেসিস। এই কমিটিতে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি গিগা টেকের সামিরা জুবেরী হিমিকা, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) এনরুট ইন্টারন্যাশনালের আবু দাউদ খান এবং সহ-সভাপতি (ফিন্যান্স) পাঠাওয়ের ফাহিম আহমেদ।
<iframe src=”https://www.facebook.com/plugins/video.php?height=314&href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fdigibanglatech%2Fvideos%2F4559574777488624%2F&show_text=false&width=560&t=225″ width=”560″ height=”314″ style=”border:none;overflow:hidden” scrolling=”no” frameborder=”0″ allowfullscreen=”true” allow=”autoplay; clipboard-write; encrypted-media; picture-in-picture; web-share” allowFullScreen=”true”></iframe>
এছাড়া ৭টি পরিচালক পদে রয়েছেন টেকনো হ্যাভেনের হাবিবুল্লাহ এন করিম, অ্যাডভান্সড ইআরপির মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, স্পেকট্রাম সফটওয়্যার অ্যান্ড কনসাল্টিংয়ের মুশফিকুর রহমান, ড্রিম৭১ বাংলাদেশের রাশাদ কবির, ড্রিমার্জ ল্যাবের তানভীর হোসেন খান, টেকনোগ্রামের এ কে এম আহমেদুল ইসলাম এবং মাস্টারকার্ডের সৈয়দ এম কামাল।