বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনে অনুমোদন পাওয়া এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের স্থায়ী সম্পদের মূল্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটির সম্পদের মালিকানা নিয়েও জটিলতা রয়েছে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে অভিযোগ এসেছে। যার সত্যতা যাচাই করার জন্য কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারন বিনিয়োগকারীদের আবেদন স্থগিত করেছে কমিশন।
কোম্পানিটির আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি) থেকে আবেদন গ্রহণ শুরুর জন্য তারিখ নির্ধারন করা হয়েছিল। যা ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত করা যেত। তবে কমিশন তা স্থগিত করেছে।
এ বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ এসেছে। তাই কমিশন প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন পুনঃনিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিরীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।
প্রসঙ্গত, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য অনেক আগেই প্রতিষ্ঠানটি বিডিং প্রক্রিয়া শেষ করেছে। বাকি ছিল আইপিওর আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া। যার জন্য আগামীকাল থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা ছিল।
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের ‘কাট-অব প্রাইস’ নির্ধারণে গত ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে কোম্পানিটির কাট-অব প্রাইস ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের কাট-অব প্রাইস থেকে ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে অথবা ২০ টাকা, দুটির মধ্যে যেটি কম সে মূল্যে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছিল বিএসইসি। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে নিয়োজিত আছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়। যা ব্যবসায় সম্প্রসারণ, উৎপাদন, ভবন নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না শর্তে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও অনুমোদন পেয়েছিল।
কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০২১ সময়কালের আর্থিকবিবরণী অনুযায়ী পুনঃমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ-মূল্য দেখিয়েছে ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ-মূল্য দেখিয়েছে ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা। গত ৩১ আগস্ট বিএসইসির ৮৩৭তম সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।