রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিএস কম্পিউটার সিটি আইডিবি মার্কেটের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুরু হওয়া দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি মেলা “সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২৪- এর পর্দা নেমেছে। সর্বশেষ প্রযুক্তির ল্যাপটপ ও বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য কিনতে ভিড় জমিয়েছিলেন ক্রেতারা। কেনাকাটা ছাড়াও মেলার গেমিং স্টলগুলোও ছিল দর্শনার্থীদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু।
মেলার শেষ দিনে সরজমিনে দেখা গেছে- মেলার বিভিন্ন স্টলে তরুণদের ভিড়। কেউ কিনছে কেউ প্রযুক্তিপণ্য পরখ করে দেখছে। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণ করা গিগাবাইট স্টলে ছিল সিমুলেটর ড্রাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা, যা দর্শকদের বেশ আকৃষ্ট করেছে। ডাহুয়া স্টলে ফাইটিং গেমিং স্টেশনেও দেখা গেছে বিপুল ভিড়। এছাড়াও গ্লোবাল ব্র্যান্ডের বিভিন্ন স্থলে ছিল গেমিং কম্পিটিশন নানা আয়োজন। তরুণ দর্শনার্থীদের জন্য এগুলো ছিল বিশেষ আকর্ষণ।
গিগাবাইটের কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মোহাম্মদ আনাস খান বলেন,, “গিগাবাইট তরুণদের ব্র্যান্ড। মেলায় তাদের আগ্রহ ছিল অনেক। মেলায় সব ব্র্যান্ডের একটি সমন্বয় ছিল, যা ক্রেতাদের জন্য উপকারী হয়েছে। মেলার নতুনত্ব আমাদের জন্যও দারুণ অভিজ্ঞতা।”
বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থীরা সিমুলেটর গেম উপভোগ করেছেন এবং ল্যাপটপসহ প্রযুক্তিপণ্যের ব্যাপারে বিশদভাবে জেনেছেন। মিরপুরের অধিবাসী শিপন রহমান। তিনি ছেলের জন্য একটি ল্যাপটপ কিনেছেন। কথা হয় তার সাথে তিনি বলেন- ‘সব ব্র্যান্ড একসাথে পাওয়াতে আমাদের অনেক ভালো হয়েছে। দেখে শুনে কম্পিউটার কিনতে পারছি। আরো অনেক পণ্য সম্পর্কে জানছি।’
অনেক ক্রেতারা গিগাবাইট মাদারবোর্ড সহ অন্যান্য পণ্য কিনলেই বিভিন্ন উপহার পেয়েছেন, যা তাদের অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দময় করেছে। বেসরকারি চাকরিজীবী মুবিন চৌধুরী বলছিলেন- পণ্য কিনতে নয় আমি ঘুরতে এবং জানতে এসেছি। যাতে পরবর্তীতে সংগ্রহ করতে পারি।
গ্লোবাল ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি-এর হেড অফ মার্কেটিং সেলিম আহমেদ বাদল জানান,‘আমরা চারটি স্টল এবং ছয়টি প্যাভিলিয়ন নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি। মেলাটি উৎসবমুখর করতে বিশেষ আয়োজন ছিল, যার মধ্যে গেমিং প্রতিযোগিতা অন্যতম। আমরা খুব ভালো রেসপন্স পেয়েছি। এ ধরনের মেলার মাধ্যমে এন্ড কাস্টমারের চাহিদা বুঝতে পারি, যা ভবিষ্যৎ পণ্যের পরিকল্পনায় সাহায্য করে।”
১১ নভেম্বর শুরু হওয়া এই মেলার শেষ দিনে ক্রেতারা ল্যাপটপ, কম্পিউটার, হেডফোন, কেসিং , মাদারবোর্ড সহ গেমিং ডিভাইসসহ নানা প্রযুক্তিপণ্য কিনতে দেখা গেছে। গেমিং স্টল থেকে শুরু করে ব্র্যান্ড প্যাভিলিয়নগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের ভিড়।
ছয় দিনের এই প্রযুক্তি মেলা প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতা। নতুন প্রযুক্তি দেখার সুযোগ এবং ক্রেতাদের সরাসরি মতামত জানার মাধ্যমে বিক্রেতারাও সন্তুষ্ট। তবে কিছু কিছু বিক্রেতারা বলছে তার আশানুরূপ সাড়া পায়নি। আগামী বছর আরও বড় পরিসরে মেলা আয়োজনের আশাবাদ জানিয়ে পর্দা নেমেছে এবারের আসরের।