ইউরো কাপের প্রথম অঘটনের শিকার হয় বেলজিয়াম। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৪৮ নম্বরে থাকা স্লোভাকিয়ার কাছে হেরে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মিশন শুরু করেছে রেড ডেভিলরা। ম্যাচের শুরুতে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে বেলজিয়ামের হয়ে গোল করেছিলেন দলের সেরা স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভার) প্রযুক্তিতে বাতিল হয় সেই গোল।
আর এর মাধ্যমেই প্রথম বারের মতো আন্তর্জার্তি ফুটবলে যুক্ত হলো ‘ভার’ প্রযুুক্তি। নতুনত্ব দেখা গেল ভার প্রযুক্তিতে। ব্যবহার করা হল ‘স্নিকোমিটার’ প্রযুক্তি। সাধারণত এই প্রযুক্তি সাধারণত ক্রিকেটে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে (ডিআরএস) দেখা যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ম্যাচ চলাকালে ফুটবলার বল হাত দিয়ে ছুঁয়েছেন কি না, ছুঁলেও কতটা বদলেছে বলের গতিপথ, বদলে যাওয়া গতিপথ কাজে লাগিয়ে গোল করতে কতটা সুবিধা পেয়েছেন, এর সবই ধরা পড়বে রিপ্লেতে।
ইউরোতে বেলজিয়াম-স্লোভাকিয়া ম্যাচেও ব্যবহার করা হয় এই প্রযুক্তি। তাতে দেখা যায়, দৌড়ানোর সময় হাত দিয়ে বল হাতে স্পর্শ ওপেনডা। যার ফলে বলের গতিপথ খানিকটা বদলে যায়। ফলে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়তে সুবিধা হয় তার। এ কারণে লুকালুর করা গোলটি বাতিল করেন ম্যাচের রেফারি উমুট মেলার।
এর আগে ভার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও ফুটবলে স্নিকোমিটার ব্যবহার করা হয়নি। ইউরো কাপ শুরু হওয়ার আগে আয়োজকরা জানিয়েছিলেন, এই প্রযুক্তি রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিতে আরও সাহায্য করবে। ইউরো কাপে ব্যবহৃত বলে বিশেষ ধরনের এক চিপ রয়েছে।
সেই চিপের সাহায্যে সব তথ্য পৌঁছে যা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির দায়িত্বে থাকা দলের কাছে। সেই তথ্য রেফারিকে জানিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। প্রতিযোগিতার নবম ম্যাচেই দেখা গেল নতুন এই প্রযুক্তি। আর এতে কপাল পুড়ল বেলজিয়ামের।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে বদলি হিসাবে মাঠে নামানো হয়েছিলো বেলজিয়ামের লুইস ওপেনডা-কে। এরপর একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ঢুকেন পড়েন স্লোভাকিয়ার ডি-বক্সে। ওপেনডা বল পাস দেন লুকাকুকে। আগে থেকে ডি-বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা বাঁ পায়ের শটে গোল করেন লুকাকু। তবে সেই গোলও বাতিল হয়। পরে ভার-এ দেখা যায় ওপেনডা হ্যান্ডবল করেছিলেন।