দীর্ঘদিন ধরেই ভিআর (ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি) এবং এআর (অগমেন্টেড রিয়েলিটি) প্রযুক্তির সংমিশ্রণে হেডসেট তৈরি করছে অ্যাপল। এরই মধ্যে হেডসেটের কার্যকারিতা পরখও করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে প্রতিবছরের মতো আসছে জুন মাসের অ্যাপলের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপারস (ডব্লিউডব্লিউডিসি) সম্মেলন নিয়ে একটু বেশি উৎসুক প্রযুক্তিপ্রেমীরা। কারণ, এই সম্মেলনে একের পর এক নতুন প্রযুক্তি বা পণ্যের ঘোষণা দেয় অ্যাপল। এই সম্মেলনে নিজেদের তৈরি এআর-ভিআর হেডসেট বাজারে আনার ঘোষণা দিতে পারে বনেদী এই টেক ব্র্যান্ড। কিংবা ডেভেলপারস সম্মেলনের আগেই আলাদাভাবে হেডসেটটি উন্মুক্ত করতে পারে অ্যাপল। কেননা এরই মধ্যে ‘রিয়েলিটি ওএস’ থেকে হেডসেটটির অ্যাপ্লিকেশনের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম ‘এক্সআরওএস’।
খবরগুলো পুরোনো; জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের। চলতি মাসের শেষ নাগাদ জানা গেলো নতুন খবর। নাইনটুফাইভম্যাক জানিয়েছে, হেডসেটটি পরে অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) অ্যাপ তৈরির বিভিন্ন কৌশলও শেখা যাবে। ফলে কারও সাহায্য ছাড়াই অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এ জন্য নতুন একটি সফটওয়্যার তৈরির কাজ করেছে অ্যাপল।
হেডসেটটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত চার ব্যক্তি জানিয়েছেন, সহজে ব্যবহার উপযোগী সফটওয়্যারটি কাজে লাগিয়ে যারা প্রোগ্রামিং ভাষা জানেন না, তারাও অ্যাপ তৈরির বিভিন্ন কৌশল শিখতে পারবেন। এ জন্য হেডসেট পরা অবস্থায় ব্যবহারকারীদের মৌখিক নির্দেশনা দেবে অ্যাপলের ভার্চ্যুয়াল সহকারী সিরি। ভুলও ধরিয়ে দেবে। ফলে ধীরে ধীরে নিজেদের পছন্দের অ্যাপ তৈরি করা যাবে। অ্যাপগুলো চাইলে অ্যাপ স্টোরে রাখা যাবে। ফলে অন্যরাও অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
বর্তমানে হেডসেট তৈরির পাশাপাশি নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের এআর অ্যাপ তৈরি করছে অ্যাপল। এই সফটওয়্যার চালু হলে হেডসেটের জন্য এআর অ্যাপ তৈরির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, হেডসেটেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ মিলবে।
পুরোনো খবর অনুযায়ী, অ্যাপলের হেডসেটে একই সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির ছবি দেখা যাবে। দুটি ফোর–কে প্রযুক্তির মাইক্রো ও এলইডি ডিসপ্লে-সুবিধার হেডসেটটি ব্যবহারকারীর চোখের নড়াচড়া শনাক্ত করে ভিডিও প্রদর্শন করবে। এর ফলে হেডসেটটি ফেসবুকের ‘কুইস্ট প্রো’ হেডসেটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।