গত সপ্তাহে তুলনামূলক বেশি ক্ষমতার ‘আরটিএক্স ৪০৮০’ গ্রাফিক্স কার্ডের ১৬ জিবি মডেল আত্মপ্রকাশের সঙ্গে ১২ জিবি’র ‘আরটিএক্স ৪০৮০’ গ্রাফিক্স কার্ড দেখিয়েছিল এনভিডিয়া। তবে “৪০৮০ নামে দুটি জিপিইউ থাকা বিভ্রান্তিকর।” বিবেচনা এনে কম ক্ষমতার গ্রাফিক্স কার্ড উন্মোচন না করার সিদ্ধন্ত নিয়েছে তারা। ফলে ১৬ নভেম্বর ১৬ জিবি কার্ডটির সংস্করণ প্রকাশ করা হবে।
এ নিয়ে এক ব্লগ পোস্টে নিজেদের আগের সিদ্ধান্তকে ভুল স্বীকার করে এনভিডিয়া লিখেছে, “১২ জিবি’র ‘আরটিএক্স ৪০৮০’ একটি চমৎকার গ্রাফিক্স কার্ড, তবে এর নামটি ঠিকঠাক হয়নি।”
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনভিডিয়ার ১২জিবি’র মডেলে ‘আরটিএক্স ৪০৮০’ নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা বেড়েই চলছিল, বিশেষ করে যখন ১৬ জিবি’র মডেল যথেষ্টই আলাদা।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘আরটিএক্স ৪০৮০’ ১৬ জিবি’র মডেল বাজারে আসবে নভেম্বর মাসে, যার দাম শুরু হবে ১১৯৯ ডলার থেকে। তবে, ভিন্ন নামে ১২ জিবি’র ‘আরটিএক্স ৪০৮০’ মডেল কবে পুনরায় উন্মোচিত হতে পারে, ওই বিষয়ে কিছু বলেনি এনভিডিয়া।
অবশ্য ১২ জিবি’র আরটিএক্স ৪০৮০ মডেলের দাম শুরু হওয়ার কথা ৮৯৯ ডলার থেকে। এতে থাকছে ‘৭৬৮০ সিইউডিএ কোর’ ও দুই দশমিক ৩১ গিগাহার্টজ ‘বেইজ ক্লক’, যেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে দুই দশমিক ৬১ গিগাহার্টজ পর্যন্ত, ছয়শ ৩৯টি ‘টেনসর-টেরাফ্লপ’, ৯২টি ‘আরটি-টেরাফ্লপ’ ও ৪০টি ‘শেডার-টেরাফ্লপ’।
বলা হয়েছে, ১৬ জিবি’র আরটিএক্স ৪০৮০ তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী। এতে আছে ‘নয় হাজার সাতশ ২৮ সিইউডিএ কোর’, দুই দশমিক ২১ গিগাহার্টজের একটি বেইজ ক্লক, যা বেড়ে দাড়াতে পারে দুই দশমিক ৫১ গিগাহার্টজ পর্যন্ত, সাতশ ৮০টি টেনসর-টেরাফ্লপ, একশ ১৩টি আরটি-টেরাফ্লপ ও ৪৯টি শেডার-টেরাফ্লপ।
এর অর্থ- যারা তুলনামূলক যুক্তিসঙ্গত দামে ‘আরটিএক্স-৪০’ সিরিজের কার্ড কিনতে চান, তাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।